জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের আয়োজনে ৯ দিনব্যাপী ৯ম বার্ষিক নাট্যোৎসব সমাপ্ত হয়েছে। সোমবার (১২ মে) নাটক ‘মুক্তি’ প্রদর্শনের মাধ্যমে উৎসবটি শেষ হয়।
৪ মে শুরু হওয়া নাট্যোৎসবটিতে বিভাগটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ১৮ জন শিক্ষার্থীর নির্দেশনায় মোট ১৮টি নাটক প্রদর্শিত হয়। মূলত বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের ‘নাট্য নির্দেশনা (ব্যবহারিক)’ কোর্সের অংশ হিসেবে উৎসবটি আয়োজিত হয়। কোর্সটি তত্ত্বাবধান করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজহারুল হোসেন তোকদার।
উৎসবের প্রথম দিন ৪ মে মঞ্চস্থ হয় তৃপ্তি রাণী রায়ের নির্দেশনায় ‘ইতি বিনোদিনী’ এবং মনিসা সাহার ‘কোকিলারা’। এরপর পর্যায়ক্রমে আফিয়া জাহান প্রার্থনার নির্দেশনায় ‘তেজ’, মো. শাকিল আহমেদের নির্দেশনায় ‘ভার্সেস অব ব্লাড এন্ড ফায়ার’, জাফরিন হক তরুর নির্দেশনায় ‘কোয়েশ্চান মার্ক’, পিপাসা সাহা গৌরীর নির্দেশনায় ‘লেডি আওই’, পরাগ বর্মণের নির্দেশনায় ‘বীক্ষণ’, ইশরাত জান্নাতের নির্দেশনায় ‘পাখি’, রাফেল আফ্রাদের নির্দেশনায় ‘ভেরোনিকার নতুন জীবন’, ফারহানা আমবেরীন লিওনার নির্দেশনায় ‘অতসী মামী’, পল্লব কুমার বিশ্বাসের নির্দেশনায় ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’, ফাতেমা তুজ যাহরার নির্দেশনায় ‘জ্বিনের বাদশা’, মো. শাহীন আলমের নির্দেশনায় ‘লবিং’, সামিয়া সুলতানা চারুর নির্দেশনায় ‘মৃত্যুঞ্জয়’, প্রিয়াংকা রাণী দাসের নির্দেশনায় ‘ডলস হাউজ’, লাবণী রাণী পন্ডিতের নির্দেশনায় ‘গেম অব গ্রিড’, সুমাইয়া খান কানিজের নির্দেশনায় ‘দ্যা স্টেশনারি শপ অব তেহরান’ এবং হাবিবা আক্তার পিংকীর নির্দেশনায় ‘মুক্তি’।
নাট্যোৎসব আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনেস্ট্রেটর আরিফ হাসান বলেন, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা আয়োজিত ৯ম নাট্য উৎসব এটা মূলত ২০১৯-২০ সেশন এর ৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিষ্টার নাট্য নির্দেশনা (ব্যবহারিক) পরীক্ষা। একটা ছাত্র নাট্যকলা বিভাগে তার চার বছরে কি কি শেখে বুঝে তার কিছুটা প্রতিফলন পাওয়া যায় শিক্ষানবিশ এই মঞ্চ উপস্থাপনায়। তারা কিন্ত পুরোদমে নির্দেশক হয়ে যায়নি। নির্দেশক হিসেবে তাদের চিন্তার পরিসর কতদূর যেতে পারে তার কিছুটা ইঙ্গিত আমরা এই মঞ্চে দেখতে পারি। মঞ্চ শিল্প নিয়ে তাদের যাত্রাপথ আলোকিত হোক।
এই বিষয়ে থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. কামাল উদ্দীন বলেন, বার্ষিক নাট্যোৎসব আমাদের বিভাগে প্রতি বছরই হয় এবং এবার নবম বছরে পদার্পণ করছি। যদিও এটি কোর্সের কাজ, তবুও আমরা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চিন্তা, দক্ষতা ও নির্দেশনার কৌশল দর্শকের সামনে তুলে ধরতে চাই। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য শেখার একটি ক্ষেত্র, যেখানে শুধু পরীক্ষকের মূল্যায়নই নয়, দর্শকের প্রতিক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
উৎসবের সমাপনী পর্বে অন্য বিভাগের অভিনেতাদের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিভাগের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ১৮ জন তরুণ নির্দেশক শিক্ষার্থীদের তাদের নাটকের পোস্টার শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে প্রদান করা হয়।