দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

শহরে ছাদ বাগান থাকলে তার হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুপ করার দাবী

106

বৃক্ষ কমে যাচ্ছে। ফসলী জমিও কমছে। ফলে শহরে ছাদগুলোতে বাগান করে পরিবেশের কিছুটা ভারসাম্য রক্ষায় ভুমিকা রাখা যায়। একই সাথে পরিবারের ফল, সবজির চাহিদা পুরন করা সম্ভব। তবে এবিষয়ে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। শহরে ছাদ বাগান থাকলে তার হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুপ করার সুযোগ থাকতে হবে। অন্যদিকে কেডিএ থেকে সকল নকশা দেওয়ার সময় ছাদ বাগানের দিকে উৎসাহিত করতে হবে।

সোমবার ২৬ নভেম্বর) সকালে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ফিড দ্যা ফিউচার প্রোগ্রাম হর্টিকালচার ইনোভেশন ল্যাব ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ইউসিড্যাভিস এর তত্বাবধানে শহরে ছাদ বাগান বিষয়ক মত বিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

শহরের কৃষির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা করতে প্রায় ২৫জন ছাদ বাগানি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রজেক্ট এর মুখ্য গবেষক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদিন, সহযোগী গবেষক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সুমন এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরীয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা, পিএইচডি শিক্ষার্থী মোছাঃ লাজিনা বেগম বক্তৃতা করেন।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মেট্রোপলিটন (লবনচরা) কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফরহ দীবা শাম্স। মত বিনিময় সভায় শহরের কৃষির সমস্যা ও সমাধানের বিভিন্ন দিক নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় ছাদ বাগানিদের সক্ষমতা উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা শহরে কৃষির সুবিধা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পরিবেশের উপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি বৃদ্ধি, এবং আয়ের উৎস হিসেবে শহরে কৃষির ভূমিকা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও টেকসই কৃষি পদ্ধতি এবং স্থানীয় পরিবেশের উপযোগী ফসল চাষের উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়। অতিথিরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং ছাদ বাগানিদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

মতবিনিময় শেষে অতিথিবৃন্দ খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার ছাদ বাগান ঘুরে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় পরার্মশ প্রদান করেন। স্থানীয় ছাদ বাগানিরা জানান, এমন আয়োজন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি শিখে নিজেদের চাষাবাদ উন্নত করতে পারব। ফলে আগামীতেও এ ধরণের মতবিনিময়ের আয়োজন করা প্রয়োজন। যেখানে বাগানী এবং বিশেষজ্ঞরা এক সাথে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবে। ইউএসআইডির অর্থায়নে এই ধরনের উদ্যোগ শহরে কৃষির উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে আরও এমন কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যা স্থানীয় ছাদ বাগানিদের উন্নয়নে সহায়ক হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.