বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বেশ গরম দেশের কূটনৈতিক মহল। মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী মিন অং হ্লাইং রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বাঙালি’ আখ্যা দেওয়ায় শুরুতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় বসতেই রাজি হয়নি বাংলাদেশ। পরে মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার ঢাকায় ফিরে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আজাদ মজুমদার এক ফেসবুক পোস্টে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, “বৈঠকটি কেবল তখনই হয়েছে, যখন মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সবচেয়ে বড় সাফল্য—তারা অবশেষে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেছে।”
তিনি প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের, যিনি দ্রুত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে মিয়ানমার প্রতিনিধিদের ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ উচ্চারণে বাধ্য করেন। আজাদ বলেন, “আমি কখনো ভাবিনি, এত কাছ থেকে রোহিঙ্গা সংকটের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় প্রত্যক্ষ করব।”
সম্মেলনে বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাখাইনে মানবিক করিডোর গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “জাতিসংঘের ক্ষুধা সতর্কতার প্রেক্ষাপটে রাখাইন রাজ্যে মৌলিক সরবরাহ পৌঁছাতে মানবিক করিডোর গঠন জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট অব্যাহত থাকলে তা পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। বিমসটেককে এ বিষয়ে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষত রাখাইনের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবাসনে পরিবেশ তৈরিতে উদ্যোগ নিতে হবে।
ড. ইউনূস আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু পরিস্থিতি’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে বিমসটেক সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।