দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

ভারতীয় মিডিয়ায় আইন উপদেষ্টাকে নিয়ে মিথ্যাচার, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ

13

নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়া’ নামক একটি ভারতীয় অনলাইন পোর্টালে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে জড়িয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা, মানহানিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘জম্মু-কাশ্মীরে হামলার পর বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টার সঙ্গে শীর্ষ লস্কর-ই-তৈয়বা অপারেটিভের সাক্ষাৎ’, যা গত ২৪ এপ্রিল ওই অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে জানান, এতে উপস্থাপিত সব দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও বাস্তবতাবিবর্জিত।

নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পাহেলগামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পর লস্কর-ই-তৈয়বা’র একজন শীর্ষ সদস্যের সঙ্গে ড. আসিফ নজরুলের সাক্ষাৎ হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, এ ধরনের কোনো সাক্ষাৎ হয়নি এবং এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আইনসম্মত একটি ইসলামিক সংগঠন। পূর্ববর্তী সরকার তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল। এই প্রেক্ষাপটে হেফাজতের একটি প্রতিনিধিদল তাদের দাবি উপস্থাপন করতে উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকটি প্রতিবেদন প্রকাশের তিন দিন আগেই অনুষ্ঠিত হয় এবং তা ছিল শুধুই আইনি আলাপভিত্তিক।

প্রতিনিধিদল আইন মন্ত্রণালয়ে মামলার তালিকা জমা দেন এবং রীতি অনুযায়ী উপদেষ্টার সঙ্গে একটি ছবি তোলেন, যা পরে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের নেতারা বর্তমানে বাংলাদেশের ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা কমিশনের সংলাপে অংশ নিচ্ছেন এবং আন্তর্জাতিক পরিসরেও তারা স্বীকৃত। পশ্চিমা দেশের দূতাবাসগুলোর সঙ্গেও তাদের বৈঠক হয়েছে, যা তাদের বর্তমান রাজনৈতিক ভূমিকাকে প্রমাণ করে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো হেফাজত ও অন্যান্য বিরোধী দলের ওপর পূর্ববর্তী সরকারের দমন-পীড়নের নিন্দা জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয় যে, ড. নজরুল নাকি একটি উত্তেজনাপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেছেন, যার মাধ্যমে ভারতীয় নেতাদের দায়ী করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সেটি ছিল একজন ভারতীয় নাগরিকের লেখা পোস্ট, যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপদেষ্টা সেটি শেয়ার করে নিন্দা জানালেও ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে দ্রুত তা মুছে ফেলেন।

বিবৃতিতে আইন উপদেষ্টার পক্ষ থেকে পাহেলগামের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং হামলার দ্রুত বিচার দাবি করা হয়।

আইন মন্ত্রণালয় নিউজ অ্যারেনা ইন্ডিয়ার এমন ভিত্তিহীন ও অসতর্ক প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়ে বলে, এটি সাংবাদিকতার নীতিমালা ও সত্যনিষ্ঠতা থেকে বিপজ্জনকভাবে সরে যাওয়া। তারা সব গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল রিপোর্টিং এবং সত্য যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.