ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ড্রোন শো। প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন সরাসরি দেখলেন লক্ষাধিক দর্শক।চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় আয়োজিত এই ড্রোন শো প্রদর্শিত হয় সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায়। শোতে উঠে আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বার্তা ও প্রতীকী প্রতিবাদের চিত্র— যেমন, ‘২৪-এর বীর’, পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের শুভেচ্ছা।
ড্রোন শোতে উঠে আসে আবেগঘন মুহূর্ত— ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদ, পানির বোতল হাতে মুগ্ধ, জুলাই আন্দোলনের প্রসঙ্গ এবং সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে চলমান ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ।
আয়োজকরা জানান, এটি কেবল একটি বিনোদনমূলক প্রদর্শনী নয়, বরং প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক ও মানবিক বাস্তবতাকে তুলে ধরার একটি প্রয়াস।
ড্রোন শোর আগে বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় বৈশাখী কনসার্ট। বান্দরবানের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর খুদে শিল্পীদের নিয়ে গঠিত ‘বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল’ এর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। এরপর একে একে মঞ্চে ওঠেন রাফি অ্যান্ড রকার্স ব্যান্ড, মিঠুন চক্র, জালাল আহমেদ, এফ মাইনর, আতিয়া আনিসা, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, আরজ আলী ওস্তাদ, সাগর দেওয়ান, পারসা, অ্যাশেজ ব্যান্ড এবং জাহিদ নিরব।
পুরো আয়োজন জুড়ে ছিল প্রযুক্তি, প্রতিবাদ ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব সম্মিলন — যা উপস্থিত লাখো দর্শককে দিয়েছিল অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা।