দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বিএনপির চার মাসব্যাপী কর্মসূচি

21

আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চার মাসব্যাপী পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতিতে নামছে বিএনপি। দেশের বৃহত্তম এ রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই অর্ধ ডজনেরও বেশি ইস্যু ঘিরে কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা, আসনভিত্তিক প্রার্থী চূড়ান্তকরণ, দলীয় ইশতেহার প্রণয়ন, গণসংযোগ কর্মসূচি, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া তদারকি এবং ফলাফল সঠিকভাবে ঘোষণা নিশ্চিত করা। দলীয় নীতিনির্ধারণী মহল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সংঘাত বা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে না গিয়ে কেবল নির্বাচনি প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করবে বিএনপি। প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি ইতিবাচক প্রচার, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যোগাযোগ, নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি প্রদান এবং সময়োপযোগী ইশতেহার তৈরির দিকেই এখন দলের মনোযোগ। এর অংশ হিসেবে সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর দ্রুতই লন্ডনে গিয়ে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবেন। এরপরই তারেকের দেশে ফেরার তারিখ নির্ধারণ হবে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে মাঠের পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের উপস্থিতি বড় পরিবর্তন আনবে।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এতে যুক্ত ছিলেন। বৈঠকে জুলাই সনদ, জামায়াতসহ কয়েকটি দলের যৌথ কর্মসূচি, সম্ভাব্য সংস্কার এবং সরকারের সম্ভাব্য চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি স্থিতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে তার রাজনৈতিক মূল্য দিতে হবে। অপর এক সদস্য বলেন, বিরোধী দলের কৌশলের জবাব মাঠের কর্মসূচি ও রাজনৈতিক বক্তব্যের মাধ্যমেই দেওয়া হবে।

জামায়াতসহ কয়েকটি দলের আন্দোলনের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক দলের দাবি নিয়ে আন্দোলন করার অধিকার আছে। তবে পিআর বা স্বীকৃতি রাস্তায় মিছিল কিংবা জনসভা দিয়ে নির্ধারিত হয় না, সেটি আলোচনার টেবিলেই স্থির হবে। বিএনপি এখনো আলোচনায় রয়েছে।

নির্বাচনি ইশতেহার তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছে বিএনপি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, পররাষ্ট্র ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এ ইশতেহার হবে সংস্কারনির্ভর, বাস্তবসম্মত এবং জনপ্রত্যাশা পূরণে প্রতিশ্রুতিশীল।

একই সঙ্গে দলটি আসনভিত্তিক প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজও শুরু করেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি। এজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই, মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ এবং প্রার্থীদের মূল্যায়ন কার্যক্রম চলছে। সরাসরি তারেক রহমানই এ প্রক্রিয়া তদারকি করছেন।

এর আগে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ তুলতে মাঠের কর্মসূচি শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। তবে সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য না হওয়ায় সে কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। এখন পুরো মনোযোগ নির্বাচনকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডে দিতে চায় দলটি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.