বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, সমস্যা ততো বাড়বে। বর্তমানে বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের ভবিষ্যতের স্বপ্ন স্থির করতে হবে। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, তা দ্রুত করে নির্বাচন চায় বিএনপি। কারণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক নির্বাচন।
আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) দুদিন ব্যাপী জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের (এফবিএস) আয়োজনে ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে এই জাতীয় সংলাপ শুরু হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংস্কারে আন্তরিক বিএনপি। তবে দুর্ভাগ্য আমাদের, এখন অনেকেই বলছেন বিএনপি সংস্কার চায় না। দীর্ঘ ১৭ বছরে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী গুম, খুনের শিকার হয়েছে। তখন তো কেউ পাশে ছিল না, এখন অনেকেই আসছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দীর্ঘ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিএনপি। ৭০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি আন্তরিক ২০১৬ সাল থেকেই। ভিশন-২০৩০ এ পরিবর্তনের বিষয়গুলো সামনে এনেছে বিএনপি। ২০২২ সালে প্রথমে ১০ দফা এবং পরে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করে বিএনপি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সমস্যা হলো দেশে গণতান্ত্রিক চর্চাই গড়ে ওঠেনি। চর্চা ছাড়া কোনো কিছুই গড়ে উঠব না। কোনো কিছু চাপিয়ে দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগনকে বাদ দিয়ে কোনো কিছুই করা সম্ভব না। জনগণের সঙ্গে ইন্টার্যাক্টের ব্যবস্থা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনগুলো আগে বসলে ভালো হতো। সরকার ফ্যাসিবাদের দখলে আছে। ছাত্রদের চিকিৎসার ফাইল কোথায় আছে, কেউ বলতে পারবে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জরুরি কথা ’৭১কে যেন আমরা ভুলে না যাই। ৭১ পরবর্তী সব লড়াই মনে রাখতে হবে, লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই এ পর্যায়ে এসেছি। জনগনের ওপর চাপিয়ে দিয়ে কিছু করা সম্ভব হবে না।