অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব—নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার—পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত এক অনির্ধারিত বৈঠকে এই মন্তব্য করেন উপদেষ্টারা। প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে এসব বক্তব্য উঠে এসেছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রমে নানা অযৌক্তিক দাবি, এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মসূচি জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
উপদেষ্টা পরিষদের মতে, দেশকে স্থিতিশীল রাখতে এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য এখন সময়ের দাবি। তারা জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য সরকার শুনবে, এবং নিজেদের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট বার্তা এসেছে—জনগণের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি, সেটি সময়মতো নেওয়া হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র রক্ষায় জনগণের সহযোগিতা চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।