ঢাকা কাঁপানো উত্তেজনা! দাবির দাবানলে ফুঁসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়! তিন দফা দাবিতে যমুনার সামনে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ধ্বংসাত্মক অবস্থান—আর সেই আগুনেই যেন ঘি ঢাললো হঠাৎ ঘটে যাওয়া এক নাটকীয় ‘হামলা’!
রাত তখন দশটা পেরিয়েছে, শহর যখন ঘুমোতে প্রস্তুত, তখনই হঠাৎ ঘটে যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা! প্রধান উপদেষ্টার বাসার সামনে জড়ো হওয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কথা বলতে আসেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকেরাও। কিন্তু হায়! ছাত্রদের উষ্মা তখন যেন আগ্নেয়গিরি! তাদের স্লোগানে কাঁপতে থাকে পুরো এলাকা—আর ঠিক তখনই আকাশ ছুঁড়ে ছুটে আসে এক বোতল পানি! টার্গেট সোজাসুজি মাহফুজ আলম!
সদ্য ‘আক্রমণ’ থেকে সামলে উঠে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ক্ষুব্ধ মাহফুজ। জ্বলে ওঠা কণ্ঠে বলেন, “এখানে যারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে, তারা কারা—তা খুঁজে বের করা এখন মিডিয়া ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ! তারা একজন মন্ত্রীর ওপর হামলা করে নিজেদের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে? এটা পুলিশের সঙ্গেও যে কেমন আচরণ করেছে, তার প্রমাণ!”
তাঁর চোখেমুখে তখন অভিমান, ক্ষোভ আর অপমানের ছায়া। তিনি বলেন, “তারা আমাদের সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে ছিল, কিন্তু তখন তো হামলা করেনি! আজ তারা এখানে এসেছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, পরিস্থিতি সাবোটাজ করতে! বড় ভুল করেছে তারা! শিক্ষার্থীদের উচিত এই ধ্বংসাত্মক শক্তিকে আলাদা করা।”
আরও বড় ঘোষণা আসে মাহফুজ আলমের মুখ থেকে—“আজ থেকে যমুনার সামনে আর কোনো অবস্থান চলবে না! আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে! অনলাইন হিংস্রতা আর বাস্তবে রূপ নেবে না!”
তবে সরকার যে সম্পূর্ণ অমানবিক নয়, সেটাও জানাতে ভুল করেননি তিনি। বলেন, “জগন্নাথের দাবিতে সরকার সহানুভূতিশীল। শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা হবে, আশা করি সেখানেই সমাধান আসবে।”