বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে, যা দেশের পোশাক শিল্পের লাভের হার কমিয়ে দেবে। বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হলেও, চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোর সঙ্গে চরম প্রতিযোগিতা চলছে।
বাংলাদেশের জন্য ২০২৪ একটি কঠিন বছর হয়ে উঠেছে। গত বছরের অর্থনৈতিক সংকটের পর, গণ-আন্দোলনের ফলে এক স্বৈরশাসকের পতন ঘটে এবং দেশ রাজনৈতিক অস্থিরতায় জড়িয়ে পড়ে। এর মাঝে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়, যা দেশের রপ্তানি নির্ভর অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ধাক্কা। যদিও কিছুদিন পর ট্রাম্প সাময়িকভাবে শুল্ক স্থগিত করেন, তবুও ভবিষ্যতে তা পুনর্বহালের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ অবস্থায় পোশাক শ্রমিকরা উদ্বিগ্ন। সাভারের ৪এ ইয়ার্ন ডাইং কারখানার কর্মী মুরশিদা আক্তার বলেন, “যদি অর্ডার কমে যায়, তাহলে কাজও কমে যাবে।” পোশাক শিল্পে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ সরাসরি জড়িত, এবং তাদের জীবিকা পুরোপুরি এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল।
তবে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প তার কঠিন সময়ে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে টিকে আছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর, শিল্পটি পুনর্গঠিত হয় এবং এখন ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন’ (LEED) মানদণ্ডে সার্টিফিকেট অর্জন করা ২৩০টি গার্মেন্ট কারখানা রয়েছে।
বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর ফলে এই খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সরকারের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে, এবং বিশ্বব্যাংকও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশের ভবিষ্যত দেখছে।
এমন অবস্থায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং পোশাক শিল্পের ওপর চাপ আরও বাড়ছে।