দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

জুলাইয়ের এতো রক্ত ও জীবনের পরে কোন অবস্থাতেই আর কোন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়া হবে না-আব্দুল আউয়াল

33

জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল কে বিচারের আওতায় আনা, এবং বিচারকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি ও খুলনা ২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হোসাইন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও খুলনা ৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে আগের পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের জনতা প্রতিহত করবে। জুলাইয়ের এতো রক্ত ও জীবনের পরে কোন অবস্থাতেই আর কোন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেয়া হবে না। তাই জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিতে হবে। নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় পাওয়ার হাউজ মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আরও বলেন, দেশের যা অবস্থা তাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। আমরা বলবো, সরকারের আচরনের মাধ্যমে, সদিচ্ছার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এতো রক্তের মাধ্যমে অর্জিত জুলাই সনদের আইনীভিত্তি দিতে সমস্যা কোথায়?

সভাপতিত্বের বক্তব্যে মুফতী আমানুল্লাহ বলেন, জুলাইয়ের প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ আশানুরূপ হয় নাই। সংস্কার যেসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে তার আইনীভিত্তি নিশ্চিত করা যায় নাই। আবার মৌলিক সংস্কারের অনেকগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে বাতিলযোগ্য করে রাখা হয়েছে। এমন বাস্তবতায় পিআর পদ্ধতি-ই জুলাই এর প্রত্যাশা পূরণে একমাত্র উপায়। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আদায়ের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে যাবে; ইনশাআল্লাহ।

৫ দফা দাবি আদায়ের মিছিল পূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দীন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ দ্বীন ইসলাম, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সৈকত, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী ইসহাক ফরীদি, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী ফেরদাউস সুমন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন ভূইয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ কামাল হোসেন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওঃ নাসিম উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক বন্দ সরোয়ার হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ বাদশা খান , স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, সহ প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী আমানুল্লাহ, সহ দপ্তর সম্পাদক এইচ এম আরিফুর রহমান, সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন, সদস্য আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মোঃ শহিদুল ইসলাম সজিব, মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার, আবুল কাশেম, মোঃ মিরাজ মহাজন, মোঃ মনজুরুল ইসলাম, কাজী নজরুল ইসলাম, আলফাত হোসেন লিটন, মাওঃ মাসুম বিল্লাহ, কাজী তোফায়েল, শ্রমিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, পলাশ শিকদার, যুব নেতা মোঃ আব্দুর রশিদ, মমিনুল ইসলাম নাসিব, ছাত্র নেতা মোঃ মাহদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রদক্ষিণ করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.