চিতলমারী প্রতিনিধি: আগামী নির্বাচনে চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলার জনগণের পাশে দাঁড়াতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বিএনপি-সমর্থিত এক তরুণ প্রার্থী। পেশায় সমাজকর্মী, চিন্তায় জনকল্যাণকামী এই প্রার্থী বলেন, “স্বাস্থ্য ও কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনই হবে উন্নয়নের মূলভিত্তি।” তার মূল প্রতিশ্রুতি হলো— কৃষক ও সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার বাবা আজীবন এই এলাকার মাটি ও মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আমি তারই সন্তান। যদি আল্লাহ আমাকে এই এলাকার সেবা করার সুযোগ দেন, আমি প্রথমেই কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লব আনবো ইনশা-আল্লাহ।”
কৃষি খাতে পরিকল্পনা:
তরুণ এই প্রার্থীর ভাষায়, “আমাদের কৃষকের ঘামে ভেজা ফসলের যেন ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিশ্চিত হয়, সেটা হবে আমার প্রথম কাজ। সরকারি গুদামে ধান-গম সংরক্ষণ করে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করবো। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং, স্বল্পসুদে ঋণ ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে প্রতিটি ইউনিয়নে।”
তিনি আরও জানান, কৃষি উপকরণে ভর্তুকি বাড়িয়ে সার, বীজ ও সেচ ব্যবস্থাকে কৃষকের জন্য আরও সাশ্রয়ী করা হবে।
স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লব:
তিনি বলেন, “আমার স্বপ্ন, আর কোনো মা-বাবাকে অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে, চিকিৎসকের অভাবে, ভেলোর-কলকাতা না গিয়ে প্রাণ হারাতে না হয়। আমরা নিজেরাই স্বাস্থ্যসেবায় হবে স্বনির্ভর। ইনশা-আল্লাহ, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা পর্যায়ে ৫টি করে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করবো।”
তিনি উল্লেখ করেন, ডাক্তার, ওষুধ ও জরুরি চিকিৎসা সেবার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সরকারি হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়িয়ে ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’কে উৎসাহিত করার কথাও বলেন তিনি।
তারুণ্যের শক্তি ও রাজনৈতিক দর্শন:
তিনি স্পষ্ট করে জানান, “আমি শুধু কথা দিই না, সংগ্রাম করি। বিএনপির নেতৃত্বে তারেক রহমান সাহেবের রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা পরিকল্পনার আলোকে এই এলাকাকে উন্নয়নের রোল মডেল বানানো সম্ভব।”
তরুণ এই প্রার্থীর বিশ্বাস, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কথার প্রমাণ কাজে দিয়ে দেখাবে।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের ঘরেরই ছেলে। আমার স্বপ্ন এই মাটির মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো। ভোট দিলে ধানের শীষে, দেশ গড়বো সবাই মিলে।”
তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান, মাটি ও মানুষের কল্যাণে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার।