গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে খুলনা। জুলাই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই যোদ্ধারা বিকেলে প্রথমে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। শিববাড়ি মোড়ে বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয়, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, আহম্মদ হামীম রাহাত, ডা. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, ফাহমিদ ইয়াসির, মেনান মুশফিক, ওয়াহিদ অনি, সাইফ নেওয়াজ, তাসনিম আহমেদ, মাহদী হাসান সীন, সানজিদা আক্তার, আলামিন, মাসুদুর রহমান, আব্দুর রহমান,মহররম মাহিম প্রমুখ।
অপরদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক গোপালগঞ্জে যাওয়া জুলাই যোদ্ধা আব্দুল্লাহ আল সাফিন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারিরা সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পালিয়েছে। এনসিপির
কেন্দ্রীয় নেতারাও তখন নিরাপদে রয়েছেন।
অন্যদিকে গোপালগঞ্জে সাড়ের ৩টার ঘটনায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় বের হয় এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর খুলনায় রওনা দেয়।
বুধবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাপ্পি বলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালঞ্জ থেকে খুলনায় আসছেন। তারা আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।
অপরদিকে, এনসিপি’র শীর্ষ নেতাদের খুলনায় নিয়ে আসতে নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে মোল্লাহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন কয়েক শত নেতাকর্মী। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে খুলনার শিববাড়ি মোড় থেকে বেশ কিছু মটর সাইকেল, প্রাইভেট কার ও পিকআপ যোগে তারা রওনা দেন।
এ সময় এনসিপির অন্যতম সংগঠক আহমদ হামিম রাহাত জানান, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জকে জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের রক্তের রণক্ষেত্র বানিয়েছে। আমরা কাউকে ছাড় দেবনা। খুনের সাথে জড়িত সবাইকে আমরা কঠোর ভাবে দমন করবো। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খুলনায় নিয়ে আসার জন্য আমরা মোল্লাহাট যাচ্ছি।
জামায়েত ইসলামীর গোপালগঞ্জ জিলা আমির অধ্যাপক এম এম রেজাউল করিম বলেন আমি মনে করি রক্তাক্ত বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচার নিপাত গেছে , কিন্তু আজকের এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তারা হামলা চালিয়ে তারা প্রমাণ করেছে তারা আসলেই গণতন্ত্র চায় না তারা ফ্যাসিবাদ ।
এনসিপির নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুলনা সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছেছেন। পরে তারা জানান, আজ রাত নটায় খুলনা প্রেস ক্লাবে তারা সংবাদ সম্মেলন করবেন।