গুমের ঘটনায় কোনো সেনা সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে কর্মরত, তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
ভুক্তভোগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চাইতে পারেন। সেনাবাহিনী তাদের পাশে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, অস্ত্র উদ্ধার এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন তিনি। জানান, এখনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েনের নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
অস্ত্র লুট প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল বলেন, লুট হওয়া অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, বাকি অংশও শিগগিরই উদ্ধার হবে।
তিনি জানান, কিশোর গ্যাং দমনে সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। চলমান অভিযানে গত দুই সপ্তাহে উদ্ধার হয়েছে ২৬টি অস্ত্র ও ১০০ রাউন্ড গুলি। গত আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত মোট গ্রেপ্তার ১৫ হাজার ৬৪৬ জন।