পুলিশ জানায়, নিহত নাসিমা বেগমের মেয়ে খাদিজা বেগম শুক্রবার ( ৩১ জানুয়ারি) বিকেলে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বাড়িতে বাবা-মা কাউকে দেখতে না পেয়ে ডুমুুরিয়া থানাধীন ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ রুদাঘরা গ্রামে তার নানা বাড়িতে মায়ের খোঁজে যায়।
জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় সেফটি ট্যাংকের মধ্য হতে হাত-পা বাধা অবস্থায় গৃহবধূ নাসিমা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ( ৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার ৩নং রূদাঘরা ইউনিয়নের খরসংগ গ্রামের একটি সেফটি ট্যাংকের মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামী ইব্রাহিম মোল্লা তাকে হত্যা করতে পারেন, এমন ধারণা স্থানীয়দের। এ ঘটনায় শনিবার সকালে স্বামী ইব্রাহিম মোল্লাকে আটক করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি শেখ শাহজাহান শনিবার দুপুরে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ইব্রাহিম মোল্লা তার স্ত্রীকে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকের মধ্য লুকিয়ে রাখে । সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। মরদেহ উদ্ধারের সময় গৃহবধূ নাসিমা বেগমের হাত-পা বাধা ছিলো। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নানা বাড়িতে তার মা না যাওয়ায় পুনরায় বাড়িতে এসে বিভিন্ন জায়গায় খোজ করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় সেফটি ট্যাংকির উপরে নতুন কাদামাটি দেখে সন্দেহ হলে সেফটি ট্যাংকির মুখ উঠালে তার মায়ের পা দেখতে পায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। ওই সময় গৃহবধুর স্বামী ইব্রাহিম মোল্লা পলাতক ছিলেন।