“খুঁজে নিও”
—ফ, ম, হালিম
খুঁজে নিও তুমি আমায়
যা ফিরে পাবোনা আর কখনো
শৈশব বিজড়িত মধু বিষাদের
যতশত স্মৃতি
টাকায় বনরুটি,চারটি লজেন্স
হরেক কত কি
অপেক্ষার দীর্ঘ অধীর আগ্রহ
ষষ্ঠকষ্টের শেষ বাঁশি
মিল থেকে বিল পাবে আব্বায়
বৃহস্পতির দিন খুশি
পাঁচ ভাই বোন মিলেমিশে থাকিতাম
বাসায় বসে
উঁকি ঝুঁকি মারি দেখিতাম
আব্বায় কখন আসে
দূর হইতে দেখা যেত পাটের সাদাসে আশ
মাখা মাথা গায়ে
কালো চুলদাড়িতে আব্বারে
তবুও যেন বুড়াবুড়া লাগে
মেজ দুষ্টু দৌড়ে যেতাম আব্বার কাছে
খালি হাত মিছে
বড় বোন চলিত লক্ষী সোনা মেয়ে
আব্বার পিছে পিছে
ঝারিয়া দিত গতর ধুইয়া দিত মুখ
বাপ বেটির কত সুখ।
পানির বাটি ভড়ীজ্বল
হাতপাখা নারি করিত বাতাস
ছেলেমেয়ে নাই আর কোন
বড়মেয়ে আব্বার পরাণশ্বাস
দেখে যেন কেন মন বলে
বড় বোন ছাড়া সবেই দীর্ঘশ্বাস ।
খুঁজে নিও তুমি আমায়
যা ফিরে পাবোনা আর কখনো
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি আসে
সকাল হইবার যত প্রত্যাশায়
থলে লয়ে চল কখন যেন আব্বায় বলে
গঞ্জে যাবার
সংসারের চাহিদা মনের যতশত বাহানা
বাস্তবে মিলেনা
সাধ্যের মধ্যে প্রাপ্তি সুখ তৃপ্তিতে
পরিবারের সবের মুখ
স্মরণে আজও কেজি দরে চাল
আটআনা কমে কেনার
হন্য হয়ে ঘুরিতাম দৌলতপুর
বাজারের এদার ওদার
ঘূড়িতে ঘুড়িতে চোখে পরিতো
হরেক রকমের খাবার
ক্ষুধার আন্দোলন বিস্ফোরণে
উঁকি ঝুঁকি মারি শতবার
দেহের খিদা চোখের পিপাসা
নিজ মনেই থাকিয়া যাইত
অসাধ্য ছিল সংসার গ্লানি ফেলে
তৃষ্ণা মিটানো আমার
যত অভিমান ক্ষিপ্ত ক্লান্তমন
বাজার শেষে গৃহে আগমন
থলে দেখে তাড়াতাড়ি কাড়াকাড়ি
বড্ড সবের বাড়াবাড়ি
নেইতো বিশেষত্ব কারো জন্য কিছু
তবুও কেন বোকারা খুশি
হাজারো প্রশ্ন আজও খুঁজি
উত্তরে পেট ভরে খাওয়া ছিল বুঝি।