যশোরের কেশবপুরে ৮ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় আবশেষে মামলা নিয়েছে পুলিশ। যার মামলা নং- ১১
গত শুকাবার (২০ জুন) বেলা ১২ টার দিকে কেশবপুর উপজেলার বারইহাটি গ্রামের মোজাম মোল্যার ছেলে আশানুর রহমান (৪০) একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ৮ বছরের শিশু কন্যাকে মোবাইলে কাটুন দেখার কথা বলে তাদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
এরপর তাদের বাড়ির পাশে উত্তর কর্মকারের পাট ক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি আত্মচিৎকার দিলে আশানুর তাকে ছেড়ে দেয়। এ খবর পেয়ে তার পিতা ঘটনাস্থল এসে তার কন্যাকে উদ্ধারসহ ধর্ষককে বাড়ি থেকে ধরে এনে মারপিট করে।
এরপর তারা কেশবপুর থানায় এসে তার কন্যাকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে একটি অভিযোগ করেন। ওই সময় এলাকার মাতব্বদের চাপে শিশুটির পিতা থানায় দাখিরকৃত অভিযোগটি আবার লিখিত ভাবে প্রত্যাহার করে নেয়।
থানার ওসি বিষয়ট সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এরপর থানা পুলিশ শিশুটির ডাক্তারি পরিক্ষা না করে মিমাংশার জন্য তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্য ব্যাপক ক্ষোভের সৃস্টি হলে, ২১ জুন সকালে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সালাহলে সৌদশটি শেষে থানায় গিয়ে শিশু নির্যাতনের বিষয়ে থানার ওসির বক্তব্য নেয়ার পর থানা পুলিশের টনক নড়ে।
এসময় ওসির নির্দেশে নির্যাতিত শিশুসহ তার পিতাকে থানায় ডেকে এনে এব্যাপারে আশানুরকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা রেকর্ড করেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশানুরকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মেয়ের পিতা বলেন, তার মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বারইহাটি গ্রামের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং আসামিকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।