যশোরের কেশবপুরে আ.লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এসময় তারা খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ছবি ও ভাংচুর করে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৩ মে) দিনগত রাত ১০টার দিকে কেশবপুর উপজেলার ৫ নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাথরা গেটের মাথা বাজারে অবস্থিত ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়টি, স্থানীয় চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিবার রহমানের ছেলে আ.লীগ নেতা ইমরান গাজী, সোহরাব বিশ্বাসের ছেলে আ.লীগ নেতা সাদ্দাম ও আবুল হোসেনের ছেলে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তবিবুর শেখের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন আ.লীগের নেতা ও কর্মি দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও লাঠি সোডা নিয়ে কার্যালয়টির তালা ভেঙ্গে ৫০টি চেয়ার, ২টি টেবিল, ১টি টেলিভিশন, ১টি মোটর সাইকেল ও ১টি সিলিং ফ্যান ভাংচুর করে। এসময় তারা অফিসে টাঙ্গানো দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ছবিও ভাংচুর করে।
যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ২ লক্ষাধিক টাকা। হামলার কিছুক্ষন আগে বিএনপি আগে বিএনপি নেতাকর্মিরা কার্যালয়টি বন্ধ করে চলে যাওয়ার পর কার্যালয়টি ভাংচুর করা হয়। এব্যাপারে উপজেলা বিএনপির মৎস্য ও উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান লিটন বাদি হয়ে ৩জনকে এজাহার ভুক্তসহ অজ্ঞাত ২০জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
এদিকে ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ও দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করার ঘটনায় তীব্রনিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকসহ সকল নেতৃবৃন্দ। মামলার বাদী বিএনপি নেতা এসএম কামরুজ্জামান লিটন বলেন, আলীগ নেতা ইমরান গাজী, সাদ্দাম ও তবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বিএনপি কার্যালয়টি ভাংচুর ও লুটপাটসহ বিএনপি নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ছবি ভাংচুর করে। কেশবপুর থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি অফিস ভাংচুর ও লুটপাটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।