দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

কে হবেন কেশবপুরের মানুষের শেষ পছন্দ

আর কার হাতে যাবে যশোর–৬ আসনের সংসদীয় চাবিকাঠি

19

যশোর-৬ কেশবপুর আসনে জাতীয় নির্বাচনের উত্তাপ এখন আর কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ নেই। পাড়া-মহল্লা, বাজার, চায়ের দোকান সবখানেই এখন একটাই আলোচনা, কার হাতে উঠবে কেশবপুরের সংসদীয় আসনের ম্যান্ডেট।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাই কেশবপুরের রাজনীতিকে এনে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।

বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনে  নতুন সমীকরণ নির্বাচনী মাঠে এবার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ এর সক্রিয় অংশগ্রহণে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদ স্থানীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও পরিচিত মুখ। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক এবং সাংগঠনিক দক্ষতা বিএনপিকে এই আসনে নতুন করে আশাবাদী করে তুলেছে।

বিশেষ করে তাঁর সহধর্মিণী ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেহেনা আজাদ সরাসরি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করায় দলীয় তৎপরতা আরও বেগবান হয়েছে।মাঠে আর একক শক্তি নিয়ে জামায়াত শুরু থেকেই মাঠ গোছাতে সক্রিয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির একমাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সামনে এসেছেন কেশবপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মুক্তার আলী। তিনি শুধু দলীয় কর্মসূচিতেই সীমাবদ্ধ নন; সামাজিক, মানবিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে ইতোমধ্যে তৃণমূলে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছেন। একক প্রার্থী হওয়ায় দলীয় কর্মী-সমর্থকরা লক্ষ্য নির্ধারণে পাচ্ছেন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। ফলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে জামায়াতের কর্মচাঞ্চল্য এখন চোখে পড়ার মতো।

স্থানীয়দের ভাষায়  মুক্তার আলীর জনপ্রিয়তা আর সংগঠনের ঐক্য জামায়াতকে এগিয়ে রেখেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যশোর–৬ আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঐক্য,এবং তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তির ওপর।

একদিকে জামায়াতের একক প্রার্থী ও সুসংগঠিত কাঠামো, অন্যদিকে বিএনপির অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ও মাঠে নতুন উদ্যম সব মিলিয়ে কেশবপুর এখন পরিণত হয়েছে এক উৎসব মূখর  নির্বাচনী এলাকায়। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা কে হবেন কেশবপুরের মানুষের শেষ পছন্দ, আর কার হাতে যাবে যশোর–৬ আসনের সংসদীয় চাবিকাঠি?