খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে ‘দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে’ শীর্ষক প্রকল্প কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন কোর্সের পরিচিতি বিষয়ক ‘বুটক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার প্রাঙ্গনে ‘বুটক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হয়। সকালে বুটক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভূঞা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে’ শীর্ষক প্রকল্প থেকে ইউজিসি’র সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০টি দক্ষতা নির্ভর কোর্স নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি কোর্সের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
দীক্ষা প্রকল্পের অধীনে দেশের ৯ টি শিক্ষা অঞ্চলের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বুটক্যাম্প আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে কোর্সগুলো পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে । চতুর্থ শিল্প বিল্পব (4IR)-এর সূচনালগ্নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), মেশিন লার্নিং, অ্যাডভান্সড রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT), ব্লক চেইন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, থ্রি-ডি প্রিন্টিং, অ্যাডভান্সড জিন টেকনোলজি, এবং এরকম অন্যান্য অত্যাধুনিক টেকনোলজির কারণে কর্মক্ষেত্রে সবকিছুই হবে স্বয়ংক্রিয়, যা কাজের দক্ষতা বাড়াবে বহুগুণে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এই উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে মানুষকে করে তুলবে অপ্রয়োজনীয়।
ভবিষ্যতের এই সমস্যার সমাধান করতে এবং বেকার জনসংখ্যার কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে আইসিটি ডিভিশনের প্রকল্প Digital Interactive Knack for Knowledgeable Human Assets (DIKKHA) এর যাত্রা শুরু করেছে। এই ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এদেশের যুবশক্তিকে ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে যেমন সহায়তা করবে, তেমন নিশ্চিত করবে তাদের উন্নত কর্মসংস্থান এবং বাজারমূখী দক্ষতাসম্পন্ন তরুণ জনশক্তি সৃষ্টি করা, তরুণ তরুণীদের কাছে ডিজিটাল লার্নিং কোর্সের বিষয় বস্তু পৌঁছে দেওয়া, বিদেশী জনশক্তি-নির্ভরতা কর্মক্ষেত্রে দেশের তরুণদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, শিল্প এবং দক্ষতা উন্নয়নে সংস্থার মধ্যে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপন করা।