মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ইয়েমেনে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশনের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইয়েমেনের সাদা শহরে দুই দফা এবং বারাত আল আনান জেলায় চার দফা হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে আল মাসিরাহ টিভি জানায়, ইয়েমেনের রাজধানী সানার উত্তরে বানি আল হারিস জেলায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছে।
শুধু এই হামলাই নয়, গত সপ্তাহেও যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে অভিযান চালিয়েছে। সানায় মার্কিন বিমান হামলায় তখন অন্তত ১২ জন নিহত হয় এবং আরও ৩০ জনের বেশি আহত হয়। হুথি-নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, রাজধানী সানার ফারওয়া জেলায় একটি বাজার ও আবাসিক এলাকায় হামলা চালানো হয়। একই সময় মারিব শহর, হোদেইদা এবং সাদা প্রদেশেও হামলা হয়।
গত ১৭ এপ্রিল রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক দফা হামলায় প্রাণ হারান ৮০ জন এবং আহত হন আরও ১৫০ জনের বেশি।
গত এক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইয়েমেনে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান সমর্থিত হুথিদের হামলা থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলের আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল রক্ষার জন্যই তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এদিকে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েল সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলার পর শহরতলির আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা বৈরুতের শহরতলিতে একটি অবকাঠামো ধ্বংস করেছে।
লেবাননে অবস্থিত ইরানি দূতাবাস এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই হামলা ইসরায়েলের আগ্রাসন, অপরাধ এবং সন্ত্রাসের প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ করেছে।