টানা তিন বছর ধরে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা দিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন নীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনকে আর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে না ওয়াশিংটন।
ট্রাম্প বলেন, “আমি ইউক্রেনকে খুব বেশি নিরাপত্তা দিতে চাই না। এটা ইউরোপের দায়িত্ব।”
এদিকে, শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়াশিংটন সফরে আসছেন। তার মূল লক্ষ্য খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করা। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার মিলতে পারে।
মার্কিন প্রশাসন চাইছে, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক শিল্পে ব্যবহৃত খনিজ আহরণের সুযোগ পেতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ওয়াশিংটনের জন্য লাভজনক। কারণ, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিন বছর ধরে যে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তার কিছুটা ক্ষতিপূরণ পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, চুক্তির সফলতা নির্ভর করছে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার ওপর। তবে ইউক্রেন নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়া কোনো চুক্তি চায় না।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দ্রুত যুদ্ধের অবসান চান। তবে তার প্রস্তাবিত শর্ত ইউক্রেনের জন্য কতটা সুবিধাজনক হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়াও দেখার বিষয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে।