বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বাগেরহাট জেলার পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে,একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে যথাযথ অনুসন্ধান ব্যতীরেকে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বলায় আমাদেরকে হতাশ করেছে এবং পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে এধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান কোনভাবেই কাম্য নয়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলছে, ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ বাগেরহাট জেলার পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এর সম্পর্কে কম বেশি ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি উল্লেখপূর্বক খাতওয়ারী দুর্নীতির বিভিন্ন পরিমাণ উল্লেখ করেছেন। এমনকি, মহাপুলিশ পরিদর্শক মহোদয় পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন না বলে তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
পুলিশ বাহিনীতে কোন কর্মকর্তা কোন অপরাধের সাথে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ অনুসন্ধানপূর্বক বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আইন অনুযায়ী সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে এরকম বক্তব্য উপস্থাপন করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির সামিল। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনিতে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে যথাযথ অনুসন্ধান ব্যতিরেকে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বলায় আমাদেরকে হতাশ করেছে এবং পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে এধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান কোনভাবেই কাম্য নয়। এ ধরণের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর মনোবলকে দুর্বল করা ও সুনাম জনসম্মুখে হেয় করার সামিল।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরণের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর প্রতিটি সদস্য সর্বদা দেশের আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করছে।