আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রোববার এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তে আনন্দ প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বিলম্বে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নির্বিঘ্ন করতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিরই প্রতিফলন।”
গত বৃহস্পতিবার থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলন চলছিল। শুক্রবার বিকেল থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এরপর শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, দেশের নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী-সাক্ষীদের সুরক্ষা এবং জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি দাবি করেছে, অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নিলে সরকারকে চাপের মুখে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো না। মির্জা ফখরুল জানান, গত ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তারা লিখিতভাবে আওয়ামী লীগকে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব ও প্রয়োজনীয়।” তবে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক আদেশের বিরোধিতা করে বিএনপি।
বিবৃতির শেষাংশে বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলা হয়, জনগণ ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনমনে ক্ষোভের বিষয়টি উপলব্ধি করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।