আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আফগানিস্তানের বিপদগ্রস্ত নারী ক্রিকেটারদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর দেশটিতে নারী ক্রীড়া কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে অনেক শীর্ষস্থানীয় নারী ক্রিকেটার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই প্রেক্ষাপটে নারী ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে এবার আইসিসি এই উদ্যোগ নিয়েছে।
এই টাস্কফোর্সে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি), ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) সহায়তা করবে।
আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা একটি বিশেষ তহবিল গঠন করবো, যার মাধ্যমে সরাসরি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে, যাতে এই নারী ক্রিকেটাররা তাদের প্রিয় খেলাটি চালিয়ে যেতে পারেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এর পাশাপাশি একটি উচ্চমানের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থাকবে, যেখানে উন্নত কোচিং, বিশ্বমানের সুবিধা ও পার্সোনাল মেন্টরশিপের ব্যবস্থা থাকবে। এই উদ্যোগ তাদের সম্পূর্ণ সামর্থ্য বিকাশে সহায়তা করবে।’
আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ বলেন, ‘আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্রিকেটে বিশ্বাস করি এবং চাই প্রতিটি ক্রিকেটার, যেকোনো পরিস্থিতিতে, নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাক। আমাদের অংশীদারদের সহযোগিতায় এই টাস্কফোর্স ও সহায়তা তহবিল গঠন করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু ক্রিকেট নয়, বরং একতা, প্রতিরোধ ও আশার প্রতীক হিসেবেও কাজ করবে।’
ইসিবি’র প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড বলেন, ‘আইসিসির এই নতুন উদ্যোগে আমরা সহায়তা করতে পেরে গর্বিত। আফগান নারী ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়াতে আমরা বরাবরই অর্থায়নের আহ্বান জানিয়ে এসেছি। এর আগে গ্লোবাল রিফিউজি ক্রিকেট ফান্ডে উল্লেখযোগ্য অর্থ প্রদান করেছি। এখন আইসিসির এই উদ্যোগ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই আফগান নারীদের দল বিশ্বজুড়ে নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকুক।’
উল্লেখ্য, আইসিসির পূর্ণ সদস্য হওয়ার শর্ত অনুযায়ী প্রতিটি দেশের একটি জাতীয় নারী দল থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও আফগানিস্তানে বর্তমানে নারীদের দল নেই, তবুও দেশটির পুরুষ দল টেস্ট মর্যাদা ধরে রেখেছে, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে এবং চলতি বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও অংশ নিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের ম্যাচটি যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়, যদিও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্রিটিশ এমপিদের একটি গ্রুপ ম্যাচটি বয়কট করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।