দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান শুরু করেছে ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযান নিয়ে উদ্বেগে আন্তর্জাতিক মহল।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ একাধিক সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে তারা। ভারত নতুন করে পাকিস্তানের অন্তত তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে ইসলামাবাদ। এই ঘটনায় রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে—পাক বিমান বাহিনীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
শনিবার ভোরে শ্রীনগরে একাধিক তীব্র বিস্ফোরণ হয়েছে। এরপর শহরজুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শ্রীনগর এখন কার্যত ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতিতে রয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে একাধিক সন্দেহভাজন ড্রোন দেখা গেছে। পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে একটি ড্রোন হামলায় সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে সাময়িকভাবে বেসামরিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে পাকিস্তানও শনিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ রাখে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা নজিরবিহীন। পাল্টা অভিযানের এই ধারা রূপ নিতে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষে। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো এখন দুই দেশের শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথ খোঁজার আহ্বান জানাচ্ছে।
এই উত্তেজনার পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ, কাশ্মীর ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ।