দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার: নেতৃত্বের নতুন দিশা

142

মো. মোজাহিদুর রহমান: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার একজন ব্যক্তিত্ব যিনি শুধু খুলনা ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে নয় বরং তার বিচক্ষণতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মানবিক গুণাবলীর জন্যও সর্বত্র পরিচিত। খুলনার ফুলতলা ডুমুরিয়া এলাকার মানুষ তার শিষ্টাচার, একাগ্রতা এবং বিনয়ের জন্য তাকে শ্রদ্ধা করে। তার নেতৃত্বের গুণাবলি এমন একটি আদর্শ স্থাপন করেছে, যা দেশের রাজনৈতিক মহলে অনেকের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি দেশের প্রতিটি কোণায় পরিচিত হয়েছেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা, মানুষের প্রতি আন্তরিকতা এবং দেশপ্রেম তাকে অন্য নেতাদের থেকে আলাদা করেছে। এমনকি তার অধীনে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দলটি বিশেষভাবে কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা তাকে রাজনৈতিক মঞ্চে আরও দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে এসেছে।

খুলনার মানুষ আজও আশা করে, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আবারও তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে ফিরে আসবেন এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। তার অঙ্গীকার ও নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়ন ঘটেছে এবং সারা দেশেই তার রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু আজকাল আমরা একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি, যেখানে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তার বিনয়ীতা এবং শিষ্টাচারকে দুর্বলতা হিসেবে দেখছে। এই গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্য নিজের স্বার্থ উদ্ধার করা এবং তারা কোনোভাবেই নিয়মনীতি বা সৌজন্যবোধের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছে না।

এদের আচরণ, যে কোনো দলের জন্যই, অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। তারা নিজের স্বার্থে দেশের বৃহৎ ইসলামী সংগঠনের এই নেতার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক পরিবেশে যখন অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, তখন এই ধরনের অপশক্তি দলের ভিতরে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। অতএব, জামায়াতের জন্য খুব জরুরি হয়ে পড়েছে যে তারা এসব স্বার্থান্বেষী শক্তির বিরুদ্ধে প্রোঅ্যাকটিভ পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, যাতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে সংগঠনের উন্নতি অব্যাহত থাকে এবং তার খ্যাতি সংরক্ষিত থাকে।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর যে নীতি এবং আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা দীর্ঘ সময় ধরে তার সমর্থকদের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। তার শিষ্টাচার এবং বিনয়ীতা তাকে রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে একটি বিশেষ স্থান দিয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত গুণাবলির জন্য তাকে দুর্বল মনে করা একটি বড় ভুল হবে। তিনি আসলে রাজনৈতিক বিচক্ষণতার, শিষ্টাচারের এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতীক। তার বিনয়ীতা তাকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করেছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে তার নেতৃত্বের প্রতি অবহেলা করা উচিত।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতৃবৃন্দের উচিত অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের এই শোভন গুণাবলির মর্যাদা প্রদান করা এবং তার নেতৃত্বকে অটুট রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হওয়ার আগে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে দলের ভিতরে সমন্বয় বজায় থাকে এবং দলের প্রতি জনগণের আস্থা অটুট থাকে।

এছাড়া, রাজনৈতিক পরিবেশের যে চ্যালেঞ্জগুলি আজকাল প্রকট হয়েছে, সেখানে এই নেতাকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাকে তার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় করতে হবে, যাতে দলের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে এবং কোনো অপশক্তি তাকে বিপথে পরিচালিত করতে না পারে। জামায়াতের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং দলের প্রতি জনগণের আস্থার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সুতরাং, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের রাজনৈতিক জীবনের এই মুহূর্তে তার নেতৃত্বকে আরও জোরালো করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। তার নেতৃত্বের গুণাবলির ওপর ভিত্তি করে দল এবং জনগণের মধ্যে একটি মজবুত সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে, যাতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার তার জনপ্রিয়তা হ্রাস না করতে পারে।

এভাবে, রাজনৈতিক পরিবেশে তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে, জামায়াতের জন্য একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যত নিশ্চিত করা সম্ভব।

—–(লেখক: সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও সমাজসেবক)

Leave A Reply

Your email address will not be published.