সম্প্রতি ছোট পর্দার অভিনেত্রী এবং সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতার একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে, ইনশাল্লাহ।’
তার এমন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ভালোভাবে নিতে পারেননি দেশের অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠী। যার ফলশ্রুতিতে তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।নোটিশে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, একজন মুসলমান হয়েও ইসলাম পরিপন্থী জীবনযাপন করছেন তিনি।
একই সঙ্গে ইসলাম পরিপন্থী কাজ (লিভ টুগেদার) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন এবং সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই অভিনেত্রী। তার এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আজ (২৮ ডিসেম্বর) লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আরিফুল খবির। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরীর মাধ্যমে নোটিশটি পাঠান।
নোটিশটিতে বলা হয়েছে, আপনি (স্বাগতা) হাসান আজাদ নামক একজন ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছেন বলে স্বীকার করেন। যা বিগত ১ (এক) বছর যাবৎ করেছেন তাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেন এবং পাশাপাশি লিভ টুগেদার করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন।
ঐ নোটিশে আরও বলা হয়, যেহেতু আপনি একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আপনার জানা আছে বিয়ের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্যে সহবাস বা লিভ টুগেদার করা সম্পূর্ণ রূপে হারাম। আপনি উক্ত হারাম বিষয়টি নিজে করে অপরকে করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন।
যার কারণে সমাজে ব্যভিচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সমাজে এক বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আপনার উক্ত রূপ বিবৃতির কারণে মুসলমান ধর্মাবলম্বীগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত প্রদান করেছেন।
এমনকি সেই লিখিত নোটিশে বলা হয়, নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আপনার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন এবং তা নোটিশ প্রদানকারী আমার মোয়াক্কেলকে অবহিত করবেন, অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।