দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

শহীদ আবু বকর আবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা

62

কেশবপুর( যশোর) প্রতিনিধি :যশোরের কেশবপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নাম বহু বছর ধরে সমানভাবে আলোচিত শহীদ আবু বকর আবু। তিনি শুধু একজন জনপ্রতিনিধি ছিলেন না, ছিলেন তৃণমূল মানুষের আস্থা, ন্যায়-নিষ্ঠা ও সেবার প্রতীক। যশোর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি এবং ৩ নং মজিদপুর ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা সবসময়ই সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আলাদা জায়গা দখল করে রেখেছে।

তার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। সোমবার সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছিল মজিদপুর ইউনিয়নের কবরস্থানে। হাতে ফুল, চোখে আবেগ, স্মৃতির ভারে নীরব দীর্ঘশ্বাস সব মিলিয়ে যেন এক মানবিক সমাবেশ। পুরুষ-নারী, প্রবীণ-বয়স্ক থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল, আবু বকর আবুর প্রতি ভালোবাসা কোনো দলীয় সীমারেখায় আবদ্ধ নয়।

কবর জিয়ারতে উপচে পড়া জনতার সমাগম, শহীদ আবুর কবর ঘিরে সকাল থেকেই শুরু হয় কোরআন তিলাওয়াত। এরপর তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল। শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই আয়োজন পরিণত হয় জনসমুদ্রে। তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, ইউনিয়ন নেতৃত্ব ও তৃণমূলের সাধারণ মানুষ সকলেই যেন আবার একবার ফিরে গিয়েছিলেন স্মৃতির পাতায়।

অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর–কেশবপুর আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কবর জিয়ারত করেন এবং শহীদ আবুকে স্মরণ করে দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করেন।

শ্রাবণ বলেন “আবু বকর আবু ছিলেন এই অঞ্চলের মানুষের প্রিয় মুখ। তিনি ছিলেন সততার প্রতীক, ছিলেন জনগণের নেতা। তার মতো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। আমরা তার স্বপ্ন ও আদর্শের পথ ধরে এগিয়ে যেতে চাই।

তার বক্তব্যে প্রকাশ পায়, প্রয়াত আবু বকর আবুর প্রতি দলের গভীর শ্রদ্ধা ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার।স্থানীয়রা জানান, আবু বকর আবু ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি মানুষের সুখ–দুঃখে পাশে থাকতেন, যে কোনো সমস্যায় এগিয়ে যেতেন নিজে।

রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, বন্যা–দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানো—প্রতিটি জায়গায় তার নিয়মানুবর্তিতা ও মানবিকতা ছিল চোখে পড়ার মতো। একজন প্রবীণ গ্রামবাসী বলেন— “আমরা তাকে নেতা নয়, পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে দেখতাম। তার মতো সহজ-সরল মানুষ এখন আর পাওয়া যায় না। এক তরুণ বলেন তার নেতৃত্বই আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনি না থাকলেও তার কাজ আমাদেরকে পথ দেখায়।

শহীদ আবু বকর আবুর অকাল প্রয়াণ কেশবপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করে। তার মৃত্যু শুধু দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যেই নয়, জনগণের মাঝে আজও বেদনার স্মৃতি হয়ে আছে। যে মানুষটি তার কর্মজীবনে অসংখ্য মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, তিনি চলে যাওয়ার পরও মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে আছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.