দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

পিস স্কুল এন্ড কলেজে অভিভাবক সমাবেশ

19

ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল এন্ড কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় সোনাডাঙ্গা বি. কে রায় রোডস্থ স্কুল প্রাঙ্গণে এই অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সভাপতির বক্তৃতায় ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল এন্ড কলেজে’র প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোঃ ফেরদৌস হোসেন বলেন শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, আমাদের প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের শুধু জ্ঞান দেয় না, বরং তাদের ভালো মানুষ হিসেবেও গড়ে তোলে। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করি এবং এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু একটি বিদ্যাপীঠই নয়, এটি একটি পরিবার যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একে অপরের প্রতি যতœশীল এবং একসাথে বেড়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান সর্বদা আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা পদ্ধতির উপর জোর দিয়ে থাকে।

ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল এন্ড কলেজে’র প্রিন্সিপাল প্রফেসর মোঃ ফেরদৌস হোসেন-এর সভাপতিত্বে অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আনিস-আর-রেজা। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন শিক্ষকগণ আপনাদের সন্তানকে মানুষ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। প্রত্যেক শিক্ষকই নিজ শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এজন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টাও করে থাকেন। কিন্তু কথা হলো শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা সময় দিতে পারেন। শিক্ষার্থী অবশিষ্ট ১৮ ঘন্টা আপনাদের কাছেই থাকে। এই সময়টুকু আপনারা যদি আপনাদের সন্তানকে সঠিক ভাবে লক্ষ না করেন, তাহলে শিক্ষকদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। তাই প্রত্যেক অভিভাবককে নিজ সন্তানের গতিবিধির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বর্তমান ডিজিটাল যুগে কিছু বিষয়ে সকল অভিভাবকের দৃষ্টি রাখা অতীব জরুরী।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন বর্তমানে অত্যন্ত জরুরি। অভিভাবক সমাবেশ সেই যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম, যা বিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি মজবুত সেতুবন্ধন তৈরি করে। এর ফলে শিক্ষক এবং অভিভাবক উভয়েই একে অপরের প্রত্যাশা এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। প্রধান অতিথি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল পিস স্কুল এন্ড কলেজ দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি খুলনা শহরের একটি প্রথম শ্রেণীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, স্কুলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম জীবন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.