দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডকে চারদিক থেকে চেপে ধরেছে ইজবাইক মাহেন্দ্র ভ্যান আর তোলা দোকান

যানজট সমস্যা চরমে

18

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডকে চারদিক থেকে চেপে ধরেছে ইজবাইক, মাহেন্দ্র, ভ্যান আর তোলা দোকান। এরফলে বাসষ্ট্যান্ডটিতে যানজট সমস্যা দীর্ঘদিনের, কিন্তু এসব নিয়ে যেন কারও কোন মাথাব্যাথা নেই।

উল্লেখ্য, চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডটির সাথে মুলতঃ খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও শিল্প শহর নওয়াপাড়ার সাথে রয়েছে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাছাড়া শ্যামনগর, সাতক্ষীরা ও পাইকগাছা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, কুয়াকাটা, শরিয়তপুর, মাদারীপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুরপাল্লার পরিবহণ যাতয়াত করে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা থাকায় প্রতিদিন আরও কয়েক’শ পণ্যবাহী ট্রাক ও ট্যাংকলরী চলাচল করে ২৪ঘন্টা।

সবমিলে প্রতিদিন এই বাসষ্ট্যান্ডের উপর দিয়ে সহ্রাধিক যানবাহন চলাচল করে থাকে, এসব কারনে এমনিতেই বাসষ্ট্যান্ডটিতে যানজট সমস্যা লেগে থাকে। তার উপর বাসষ্ট্যান্ড থেকে চারটি সড়কের প্রবেশ মুখে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, ভ্যান ষ্ট্যান্ড আর তোলা দোকানের কারনে যানজট সমস্যা কখনও কখনও তীব্র আকার ধারণ করে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা রোডের ইজবাইক, ও মাহেন্দ্রা ষ্ট্যান্ডটি কিছুটা দুরত্বে হলেও যশোর রোড ও খুলনা রোডের ষ্ট্যান্ড দুটি বাসষ্ট্যান্ডের উপরেই পরিচালিত হয়। একারনে বাসষ্ট্যান্ডে যানবাহন প্রবেশ ও বাসষ্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ক্রসিং বা ওভারটেকিং এর সময় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে।

 

আর বাস্ট্যান্ড থেকে চুকনগর বাজারের ভিতরে প্রবেশের একমাত্র ব্যবস্থা হল যতিন-কাশেম সড়ক, আবার এই সড়ক দিয়েই চুকনগর বাজারের সীমানা পার হয়ে শিল্প শহর নওয়াপাড়া, দৌলতপুর ভায়া শাহাপুর রুটের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু বিগত সরকারের সময় খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের স্থানীয় কতিপয় নেতা, পাতি নেতা মিলে এই সড়কের দুই পার্শ্বে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা পকেটস্থ করেছে। যার ফলে সড়কটির অর্ধেকেরও বেশি জায়গা বে-দখল হয়ে সড়কটি সরু হয়ে গেছে। তাছাড়া সড়কের প্রবেশমুখে বিভিন্ন তোলা দোকান ও সমস্ত সড়ক জুড়েই ভ্যান আর ইজিবাইকের অবাধ চলাফেরা, দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী উঠানো, নামানোর কারনে এখানে যানজট সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এখানে একবার যানজট শুরু হলে তা ২০ মিনিট, ৩০ মিনিট বা কখনও ঘন্টাও পার হয়ে যায়। এরফলে সড়কের দুই পার্শ্বের ব্যবসায়ী আর পথচারীদের ভোগান্তি চরমে পৌছেঁ যায়।

তবে এসব বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব যাদের উপর অর্পিত, সেই হাইওয়ে পুলিশ একবারেই যেন নির্বিকার। তারা শুধু মহাসড়কে মোটরযান চেকিং আর মাঝেমধ্যে থ্রি হুইলার জব্দ করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করে। এব্যাপারে জানতে চাইলে চুকনগর (খর্ণিয়া) হাইওয়ে থানার ওসি (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) মোঃ নুরুজ্জামান চানু বলেন, বাসষ্ট্যান্ডের যানজট সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুত আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব, এ এক্ষেত্রে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়ে খুলনা হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (যশোর সার্কেল) মোঃ নাসিম খান বলেন, চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। আমরা খুব দ্রুত ওই বাসষ্ট্যান্ড থেকে থ্রি হুইলার ষ্ট্যান্ড ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

Leave A Reply

Your email address will not be published.