কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :যশোরের কেশপুরে হামলায় মহিলাসহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে সাথী খাতুনের (২২) হাত ভেঙ্গে গেছে এবং মাথায় ৯টি সেলাই দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার বলেছেন তার অবস্থা আশংকাজনন। এঘটনায় দুইজনকে আসামী করে কেশবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করে আহত রোগীরদের খোজ-খবর নিয়েছেন।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর সন্ধার দিকে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার সন্যাসগাছা গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে মুজাহিদ গোলদার (২৮) এবং তার মা নিছারুন বেগম (৪৫) একই গ্রামের হায়দার গোলদারের বাড়িতে প্রবেশ করে বাঁশের লাঠি দিয়ে হায়দার গোলদারের মাথায় আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এসময় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে তার কন্যা সাথি খাতুন, তার মা আনোয়া খাতুন (৫০) এবং তার ননদ তাসলিমা খাতুন (৪২)। এসময় মুজাহিদ ও তার মা লাঠি দিয়ে একই ভাবে তাদের আঘাত করতে থাকে। এতে সাথির মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয় এবং তার একটি হাত ভেঙ্গে যায়। এছাড়া তার মা আনোয়ারা বেগম ও তার ননদ তসলিমা খাতুনের এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে তাদের জখম করে। এই ঘটনায় আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হাসপাতালের ডাঃ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, হামলায় গুরুতর আহত হয়ে সাথীসহ ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে সাথীর অবস্থা আশংকা জনন।
কেশবপুর থানার ওনি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আনোয়ারা বেগমসহ ৪ জনের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং এর সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।