এম এম জামান মনি পাটকেলঘাটা থেকে :শারদীয় দূর্গা পূজার ছুটিতে যখন সমগ্র দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে শিশু বাচ্চারা জাতীয় ফুল শাপলা মাঠ থেকে বাড়ি আনার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্কুল ছাত্রী হোসাইন এবং জান্নাত।
প্রতি বছর বর্ষাকালে এলেই পাটকেলঘাটাও তালা উপজেলার বিভিন্ন খাল বিল ও নিচ জমির জাতীয় ফুল শাপলা ফোটে ।বর্তমান জলাশয় গুলো ভাসামান সৌন্দর্য সাদা শাপলা ফুল ফুটে রয়েছে। যার একটু পরশ পেতেই প্রতিদিন ভিড় করেছেন শতশত দর্শনার্থী।
শাপলার সৌন্দর্য ভালোভাবে উপভোগ করতে নৌকায় ঘুরতে ও দেখা যায়। তেমনি এর সুবাস মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। সমগ্র তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নে দেখা যায়, খুলনা – সাতক্ষীরা মহাসড়কের দক্ষিণ অঞ্চলে নদী এবং খালের পাশে বিভিন্ন ডোবা এলাকার জমিগুলোতে মাছ ও মাছের ঘের এ গুলোতে সবুজ পাতার উপর মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। আরে ফুল শাপলার। সৌন্দর্য এক নজরে দেখতে রাস্তার পাশে বিভিন্ন মানুষগুলো দেখতে ভীর জমাই। এক সময় কেউ করেছেন ক্যামেরাবন্দি।
আবার কেউ বা শাপলার সৌন্দর্য দেখতে বিভোর। এভাবেই শাপলার সৌন্দর্য বর্ণনা করেছিলেন, পাটকেলঘাটার খলিশখালী ইউনিয়নের বারা নগর গ্রামের প্রলয় সরকার, কাঁসার বাগডাঙ্গা গ্রামের নারায়ণ মন্ডল, খেরসা ইউনিয়নের কলাগাছি গ্রামের স্বপন সরকার।
তারা বলেছিলেন, সগৌরবে, মহিমায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের এই গ্রামের মেঠো পথ। এবং আমাদের শৈশব -কৈশোরে বেড়ে ওঠা গর্বের ছোট ছোট গ্রাম গুলো।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুল কলেজ গুলো যখন একটা দীর্ঘ সময় ছুটি পড়েছে তখন গ্রামের শিশু বাচ্চারা এই প্রকৃতির সৌন্দর্যের জাতীয় ফুল শাপলা জ্বালাশাই থেকে তুলে একদিকে আনন্দ পাচ্ছেন। অন্যদিকে বাড়িতে এনে মায়ের কাছে সবজি রান্না করার বায়না ও করে থাকেন। অনেকে মায়ের বা পরিবারের নির্দেশেও শাপলাগুলো তুলতেও মোটেই আনন্দটা কমছে না।