তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থাপনের প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেছেন। আনাদোলু সংবাদসংস্থার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গাজায় রক্তপাত বন্ধ করে শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে ট্রাম্পের নেতৃত্ব প্রশংসনীয়।
এরদোগান এক বিবৃতিতে জানান, তুরস্ক কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন চালিয়ে যাবে এবং এমন একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
ওয়াশিংটনে, ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তার গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার মূল দিকগুলো তুলে ধরেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এরদোগানের মন্তব্য আসে।
ট্রাম্প তার প্রস্তাবে গাজা পর্যায়ে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি সংক্রান্ত ২০ দফা নিয়ে এসেছেন, যাতে ইতোমধ্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক পর্যায়ে সম্মতি দিয়েছেন। নেতানিয়াহু বলেন, এটি গাজায় যুদ্ধবিরতি আনার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং এর প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও পড়বে। তিনি বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে তিনি সমর্থন করেন কারণ এতে তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ হবে, বন্দিরা দেশে ফিরবে, হামাসের সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা কৌশলে হ্রাস পাবে এবং ভবিষ্যতে গাজা ইসরাইলের জন্য হুমকি হবে না।
ট্রাম্প বলছেন, যদি হামাস প্রস্তাবে সম্মতি দেয়, তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত—সব জিম্মি মুক্তি পাবে। একই সাথে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিলে সেখানে আমেরিকা, ইউরোপ ও আরব দেশগুলো সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে, যার প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন ট্রাম্প। প্রস্তাব অনুযায়ী গাজার অধিবাসীরা গাজাতেই অবস্থান করবেন এবং তাদের অন্য দেশে জোরপূর্বক পাঠানো হবে না।
ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, শেষ লক্ষ্য হলো গাজা ও হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রকরণ করা; এই প্রক্রিয়ায় আরব দেশগুলোরও সহায়তা থাকবে এবং তারা হামাসকে নিরস্ত্র করতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।