দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

পাটকেলঘাটার দীর্ঘদিনের অবহেলিত গনকবরটি সরকারি অর্থায়নে পবিত্রতা রক্ষা পেল।

8

এমএম জামান মনি পাটকেলঘাটা থেকে :দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য কেন্দ্র পাটকেলঘাটা। দীর্ঘদিনের অরক্ষিত গন কবরটি। অবশেষে সরকারী অর্থে চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সহযোগিতায় প্রাচীর ও গেট করা সম্ভব হয়েছে।

সরজমিনে,পাটকেলঘাটা বাজারের সরকারি গণ-খবর টি গণসৌচাগারে বাজারে পরিণত হয়েছিল। পরিবেশগত কারণে ছিল অনাদরে। বহু বছর আগে যে বা পুরনো ইট ছিল তা ভেঙে ইটগুলো নিয়ে গেছে। অবৈধ ভাবে দখল হয়ে ছিল ইটগুলো। রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল কবর খানার পবিত্র ইটগুলো । কোন সংরক্ষণের কমিটি বা কবরখানার পরিবেশ ধরে রাখার কমিটি ছিলনা।ছিল অভিভাবকহীন কবরখানা ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০০ বছর আগেই সাধারণ গরিব অসহায় ছিন্নমূল মানুষ মারা গেলে পাটকেলঘাটা গরু হাটের উত্তর পাশে এক- দুজনের কবর দেওয়া হতো। হাজারো মানুষের এখানে বসবাস করে।

যাদের স্থায়ী কোন জমি জায়গা নাই। মারা গেলে এই গনকবরে তাদের দাফন করা হয়। প্রায় তিন বিঘা জমির উপরে এই ঘন খবরটি। সেখানকার আশেপাশে আগে কোন কবর ছিল না। ধীরে ধীরে যখন বসতি শুরু হয়, তখন কবরস্থানের এ জায়গা গুলো কিনে দেন বড় বিলা গ্রামের আব্দুল জব্বার, চোমর খালি গ্রামের মৃত ইমাদুল সরদার, কলারোয়ার আব্দুস সালাম জায়গাগুলো ক্রয় করে দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে আবারো তাদের নামে রেকর্ড হয়ে যায়। আস্তে আস্তে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। এদিকে স্থানীয় সরুলিয়া ইউনিয়ন তহশিলদার তৎকালীন সময়ের তারকনাথ মন্ডল জানায়,পাটকেলঘাটা বাজারে সরকারি কবরস্থানে কোন জায়গা আছে বলে আমার জানা নেই। দাগ খতিয়ানের জায়গা সবটুকু রেকর্ডকৃত সম্পত্তি। যেখানে কবরস্থান আসে সেখানকার সম্পত্তি কাগজপত্র না দেখে পারবেন না বলে তিনি সাংবাদিক দের জানিয়েছিলেন।

এদিকে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের বলেন, এই জায়গাটি গোরস্থানে বলে যিনি ছিন্নমূল মারা গেলে এখানে কবর দেওয়া হত। এদিকে সাতক্ষীরা আয়াত তালা কলারোয়া আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ কামাল বখত ছাকী সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে, এই গণকবরটি সংরক্ষণের জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। সেই টাকা তৎকালীন সময়ে সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মৃত মোবারক আলী সরদার সহ এ কবর স্থানে নির্মাণ সংস্কার করেছিলেন। ।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, তবে যদি এ জায়গা কারোর নামে রেকর্ড হয়ে যায়, তবে বাজারের উপর এত দামি জমি কে বা ছেড়ে দিবে, এমন প্রশ্ন মানুষের চলে আসে। জায়গাটি কবরস্থানের নামে সে কারণে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে চেষ্টা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতায় এটি আবার কবরস্থানে নামে রেকর্ড হয়ে যায়। বাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী মুক্তার আলী আমি কবরস্থানটি অনেক পরিষ্কার করেছি কয়েকদিনের মধ্যে আবার একই অবস্থা প্রতি শুক্রবারও মঙ্গলবার পানের হাটের ব্যবসায়ী, একশ্রেণীর বিবেকহীন মানুষ শুধু তাই নয় ময়লা ফেলে এই কবরস্থানের জায়গায়। এখনো কর্মী মুক্তার আলী সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছে।

কবর খননকারী আব্দুস সালাম বলেন এলাকার মধ্যে যাদের জায়গা জমি নেই এখানে কবর হাই স্ত্রীর জনের কবর করেছি কাছ থেকে শ্রমিক ন্যায় নি বর্তী লোকজন বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ফেলে তিন থেকে সাত ফুট উঁচু করে স্তুপ করে ফেলেছে কবর ঘুরতে অনেক অসুবিধা সমুকে নিতে হয় আবার এক পাশে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে কবর দেওয়া যায় না।।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মোজাফফর রহমান কবরস্থানে জায়গা আমরা কেউ দখল করতে রাখিনি বলে সেটা কারো তারা জানে না তাই বলেছে সরকারি যেটুকু জায়গা কবরস্থান থাকার কথা সেটুকু সেটুকু রাসূল দেওয়া রয়েছে।

দীর্ঘদিনের অবহেলিত এ পাটকেলঘাটার গণকবরটি ভেঙে যায় বিভিন্ন স্থানে। নজরে আছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির পরে নজরে আসে তালা উপজেলা সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাসেলের। তিনি সারাজীবন পরিদর্শন করেছিলেন। এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে সে কিনা সেটা তালা উপজেলা এসিল্যান্ড মাসুদুর রহমানকে নির্দেশ দেন। ভূমি সহকারী কমিশনার ফারজমিন পরিদর্শন করে সঠিক জমির পরিমাণ ধার করেন এবং ওই কবরস্থানের প্রাচীর দেওয়ার জন্য অন্তবর্তী সরকারের নিকট আবেদন জানিয়েছিলেন বলে তিনি সাংবাদিক কিছু জানিয়েছিলেন।

এদিকে পাটকেলঘাটা থানার শরীরে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও এই অবহেলিত কবরস্থানটি পরিছন্নতা এবং পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য একই সাথে প্রাচীর দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছিলেন। শরীরে ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘদিনের চেষ্টার ফলে বর্তমান সরকারের অর্থায়নে এই অরক্ষিতকবরস্থানের চারিপাশে বাউন্ডারি দেয়ার জন্য তিনি হাতে নেন।

শরীরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জীবনের শেষ স্তন পবিত্রতা রক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছি এবং কবর খানার সুন্দর পরিবেশ এবং পবিত্রতাা রক্ষার জন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেয়েছেন। এ জন্য তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।।

Leave A Reply

Your email address will not be published.