কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :স্ত্রী ও সন্তানের স্কীকৃতি চাওয়ায় তছলিমা বেগম নামে এক যুবতিকে মারপিটসহ হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সোহাগ হোসেন নামে এক লম্পটকে আটক পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে মানবন্ধন করেও এখনো মিলেনি স্বীকৃতি। যশোরের কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর বাজারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে রিইব এনজিও কেশবপুর উপজেলা সিএসও কমিটির সভাপতি মোঃ হারুনার রশীদ বুলবুল, সহ-সভাপতি আকমল আলী , সদস্য আবু সালেহ মাসউদ হাসান,শাহানাজ পারভীন সহ এলাকার শতশত নারী ও পুরুষ অংশ নেয়। স্ত্রী দাবী ও সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাওয়ায় গত ৬ আগষ্ট তসলিমা খাতুনকে (২৫) লোহার রর্ড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে দু’হাত ভেঙ্গে দেয়াসহ তার মাথা ফাটিয়ে দেয় ধর্ষক সোহাগ হোসেন। এরপর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে রিইব এনজিও সিএসও কমিটির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় কেশবপুর থানায় একটি মামলা হলেও থানা পুলিশ তাকে আটক না করায় ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। যার নম্বর- ৫, তাং- ১০/০৮/২০২৫। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামের মৃত রহিম সানার বিধবা কন্যা তসলিমা খাতুন হাসানপুর বাজারে আসাদুরজ্জামান স্বপনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। তার পাশে ওজিয়ার রহমানের দোকান ভাড়া নিয়ে ডেকরেটরের ব্যবসা করত একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০)।
এরই মধ্যে লম্পট সোহাগ হোসেনের নজর পড়ে তসলিমার ওপর। সে মাঝে মধ্যে তসলিমার বাসায় গিয়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে তসলিমা খাতুন সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে সে সোহাগকে বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করে। এসময় সে তার প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করে। এক পর্যায়ে তসলিমা কন্যার সন্তান প্রসব করে। ওই সন্তানের বয়স এখন ৬ মাস। এরপর তসলিমা লোকলজ্জার ভয়ে গত ০৬/০৮/২০২৫ তারিখে তার কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয়সহ তার স্ত্রীর মর্যাদা দিতে সোহাগকে আবার অনুরোধ করে। এসময় সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেদম মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাঁশের লাঠি ভেঙ্গে যায়। এরপর সে লোহার সাবল দিয়ে তাকে একাধিক আঘাত করে। এতে তসলিমার দু’হাত ভেঙ্গে যায় এবং তার মাথা ফেটে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এসময় সোহাগ হোসেন তসলিমার মৃত হয়েছে বলে পালিয়ে যায়। এখবর পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তসলিমা মানবতার জীবন যাপন করছে। এখনো মিলেনি সন্তানের স্বীকৃতি।
থানার থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বক্তব্য, তসলিমাকে মারপিটে দু’হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় থানার একটি মামলা হয়েছে মামলার আসামী পলাতক রয়েছে। তার আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া তাকে ধর্ষনের ফলে তার সন্তান জন্ম নেওয়ার বিষয়টি আদালতে যেতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।