দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা সাতক্ষীরা জেলা সাংগঠনিক সভা

19

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাতক্ষীরা জেলা সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে বাপার আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওস্বদেশের পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।

সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসুল, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, খুলনা বিসিকের পরিচালক গোলাম সাকলাইন কাফি, আইডিয়ালের পরিচালক নজরুল ইসলাম, বাসদ জেলা শাখার সমন্বয়ক নিত্যানন্দ সরকার, নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্ত, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল ও জুলফিকার রায়হান, জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সাকিবুর রহমান বাবলা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জুড়ে পরিবেশের ইতিবাচক দিক খুবই কম, নেতিবাচক দিক প্রতিনিয়ত বাড়ছে। জেলার প্রধান সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। প্রাণসায়র খাল রক্ষা করা না গেলে পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব হবে না। অথচ এই খাল খননের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে। বক্তারা বলেন, স্লুইসগেটগুলো খুলে দিয়ে জোয়ার-ভাটার স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করা হলে খাল খননের প্রয়োজনই হবে না।

তারা অভিযোগ করেন, জেলার কৃষিজমি দখল করে যত্রতত্র ইটভাটা গড়ে তোলা হচ্ছে। সাতক্ষীরায় অনুমোদন আছে মাত্র পাঁচটি ভাটার, অথচ শতাধিক ভাটা চলছে কোনো অনুমোদন ছাড়াই। এসব ভাটা পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহারও পরিবেশের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন, নিরাপদ পানির সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। গ্রামীণ নারীরা দূরদূরান্ত থেকে পানি আনতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, এমনকি অনেক সময় পরিবারের ভেতরও নির্যাতনের মুখে পড়ছেন।

বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গাবুরা এখন বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেলেও তা দুঃখজনকভাবে দুর্যোগের কারণে।

চিংড়ি চাষ নিয়ে আলোচনায় তারা বলেন, এই শিল্প থেকে আসলে স্থানীয়রা লাভবান হয়েছে নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—সেটি গভীরভাবে পর্যালোচনা করা দরকার। কারণ, চিংড়ি চাষের ফলে বহু কৃষক তাদের জমি হারিয়েছেন।

এছাড়াও জেলার অনেক পুকুর ভরাট করে বসতবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে পানিসংকট ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক সমস্যা তৈরি করবে।

পরে সর্বসম্মতিক্রমে প্রফেসর আব্দুল হামিদ, প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাক্ষ আশেক ই এলাহী, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, অধ্যাক্ষ পবিত্র মোহন দাশকে উপদেষ্টা, এড. আবুল কালাম আজাদকে আহবায়ক ও ফরিদা আক্তার বিউটিকে যুগ্ম আহ্বায়ক, মাধব চন্দ্র দত্তকে সদস্য সচিব, সাকিবুর রহমান বাবলাকে যুগ্ম সদস্য সচিব, শ্যামল বিশ্বাসকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলকে অর্থ সম্পাদক এবং উপস্থিত সকলকে সদস্য নির্বাচন করে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা সাতক্ষীরা জেলা শাখার কমিটি ঘোষিত হয় ।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.