দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

ডুমুরিয়ার বিল ডাকাতিয়ার দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতা নিরসনে সমীক্ষা চলছে বাপাউবো’র মহাপরিচালক

44

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেছেন, বিলডাকাতিয়ার দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা (ফিজিবিলিটি স্টাডি) শুরু করেছে।

ডুমুরিয়ার শৈলমারী নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য নদী ড্রেজিং, ২৪টি খাল পুনঃখনন এবং ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প গুলোর ওপর এ সমীক্ষা চলছে। সমন্বিত টোটাল এলাকার পানি কীভাবে নিষ্কাশন করা যায় সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হবে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ডুমুরিয়ার শৈলমারী রেগুলেটর পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
এরপর তিনি কালিঘাট রেগুলেটর, রংপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পানিবন্দী এলাকা এবং হামকুড়া নদীর অববাহিকা ৯১এর কাটিং পয়েন্ট (সন্ধ্যার খাল) পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিলডাকাতিয়ার পানি কালিঘাট রেগুলেটর দিয়ে ময়ুর নদীতে নিষ্কাশনে পূর্বে যে বাধা ছিল, তা উভয় পক্ষের সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানপূর্বক রেগুলেটর খুলে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কালিঘাট খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন।

এদিকে, মৃত হামকুড়া নদী পুনরুজ্জীবনসহ সংশ্লিষ্ট বিলগুলোতে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপাউবো’র মহাপরিচালকের সফরসঙ্গী ডিজাইন সার্কেল-২এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল খুলনার প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, যশোর পানি উন্নয়ন সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিএম আব্দুল মোমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, এসডি মো. আতিকুর রহমান, গুটুদিয়া ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলা সমবায় অফিসার সরদার জাহিদুর রহমান, এসও তরিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হামিদুর ইসলাম ও অজয় বিশ্বাস, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জিএম আমান উল্লাহ, জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মোক্তার হোসাইন, জেলা কৃষকদল সভাপতি মোল্যা কবির হোসেন, রংপুর ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ মণ্ডল, মোল্যা মাহাবুর রহমান, জিএম সাইকুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে বিলডাকাতিয়ার মানুষ পানির সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে আসছে। গত দুই বছর ধরে ভয়াবহভাবে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া-ফুলতলা উপজেলার একটি বৃহৎ অংশ। এসব অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ শৈলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটর। কিন্তু সম্প্রতি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে শৈলমারী ও ভদ্রা নদী। যার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।

বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দে শৈলমারী গেটের মুখ থেকে সালতা মোহনা পর্যন্ত পলি অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য দুটি ৩৫ কিউসেক পাম্প চালু আছে যা জোয়ারে চালানো হয় এবং ভাটায় জলকপাট দিয়ে পানি বের করা হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে শৈলমারী নদীর সাড়ে ১৫ কিলোমিটার ড্রেজিং, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি পাম্প স্থাপন এবং ২৪টি খাল পুনঃখনন প্রকল্পের সমীক্ষা এখনো শেষ হয়নি।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.