দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

পাটকেলঘাটায় আখ চাষ বিলুপ্তির পথে

কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা মেলেনা কৃষকের

62

এম.এম. জামান মনি পাটকেলঘাটা থেকে : বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা মেলেনি কৃষকদের। সরেজমিনে গিয়ে আখ ব্যবসায়ী জুজখোলা গ্রামের ছাদের আলী বলেন আমি দীর্ঘ ১৫/২০ বছর কৃষকের আখ চাষের জমি থেকে আখ ক্রয় করি।

সেই আখ মাড়াই করে গুড় ও পাটালি তৈরী করে আসছি। গত ৮/১০ বছর আগে লাভের মুখ দেখা মিললেও বর্তমানে সেটা হচ্ছে না। এখন আখ চাষ ভালো হয়না। যদিও দু একটি জমিতে আখ চাষ করা হয় কিন্তু তার সব আখই রোগযুক্ত। এসব আখ বেশি লম্বা হয়না। আখ চাষি নুরুজ্জামান বলেন আমরা আখ চাষ করে লছ খেতে খেতে আর চাষ করতে মন চায়না। আমার ৪০/৪৫ বছর বয়সে আজ পর্যন্ত আমি কৃষি অফিসারের দেখা পায়নি। আমার এলাকায় কে কৃষি অফিসার তাও জানিনা। শুধু আমি না আমার এলাকার কোন কৃষকই জানে বলে আমার মনে হয়না।

অরুন মল্লিক বলেন আমরা আখ চাষি কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের কোন সুযোগ সুবিধা পাই না। জানিনা কে কৃষি কর্মকর্তা। তবে সরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে আমি ৩-৪ বিঘা আখ চাষ করতে চাই। আলমগীর হোসেন বলেন, আখ চাষ নিয়ে কথা আর কি বলবো! আখ তো এখন আর নেই। আগে আমাদের মাঠে বিঘা কি বিঘা আখ চাষ হত। রাত হলে আখ বনে শিয়ালের ডাক শোনা যেত। আখ মাড়াই করে গুড় ও পাটালি তৈরী করার সময় এলাকায় গুড়ের সুগন্ধে মৌ মৌ করত। কিন্তু বর্তমানে সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেয়ে আখ চাষিরা এই চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

সরুলিয়া ইউনিয়ন কৃষি কর্মকর্তা দিলিপ কুমার বলেন আখ চাষের জন্য ৩-৪ বছর আগে তেমন কোন সুযোগ সুবিধা ছিলনা। তবে বর্তমানে সরকারের পাশাপাশি জি.কে.বি.এস.পি প্রকল্প আখ চাষিদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এ বিষয়ে তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন বলেন আখ চাষ ১ বছরের জন্য তাই চাষিরা আখ চাষ করতে চায় না। চাষিরা বছরে ২-৩ টা ফসল ফলানোর জন্য আখ চাষ কম করে দিয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.