যশোরের কেশবপুরে আব্দুল হালিম নামে এক কৃষক হার্ডএ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎধীন থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৩৫) নগত টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মোট সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
গত ১১ দিন তিনি কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তার শশুর বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড়সহ শশুরালয়ের সকল আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়ে তাকে না পেয়ে তিনি শনিরার (২১ জুন) সকালে প্রেসক্লাব কেশবপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একথা বলেন, উপজেলার বড় পাথরা গ্রামের গহর আলি শেখের ছেলে আব্দুল হালিম (৪৫)।
এসময় তিনি আর বলেন, গত ৩জুন তার হার্ড এ্যাটাক হলে তাকে কেশবপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এখানে ১১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়, এ সুযোগে তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন ৫ জুন, নগত ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও স্বার্ণালংকারসহ মোট সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
চিকিৎসা শেষে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজ-খবর করেও তাকে না পেয়ে তিনি ভেঙ্গে পড়েছেন। সর্বস্ব এবং স্ত্রীকে হারিয়ে তিনি বিচারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে খুরছেন বলে জানান।
স্ত্রীর নির্যাতনের ব্যাপারে বিচার দাবী করে তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী এর পূর্বেও একাধিকবার পালিয়েছে। অথচ তার পিতা-মাতাসহ তার ভাইয়েরা তাকে শাসন না করায় সে বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে খাদিজা খাতুন ভারতের বোম্বে শহরসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় যায় এবং সেখানে দীর্ঘদিন থেকে বাড়িতে আসে। এর প্রতিবাদ করলে সে তার ওপর শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালায় বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। এব্যাপারে তিনি তার স্ত্রীর বিচার দাবী করেন।