দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

বেতাগীতে আওয়ামী’লীগের দাবার চালে বিএনপি

115

৫ আগস্ট’র পরে রাজনৈতিক পালাবদল হলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে বেতাগীর বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এক নেতা।
কারন হিসেবে বিএনপি’র একটি সুত্র থেকে যানা যায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য কৌশলে আওয়ামী লীগের কিছু ক্ষমতা লোভীদের বিএনপিতে ভিড়িয়েছেন কতিপয় এই নেতা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিচিনি ইউনিয়ন বিএনপি’র এক নেতা বলেন গত বছরের ৫ আগস্টের পরে বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল রহমান সত্তার মল্লিক কিছু দিন আত্মগোপনে থাকলেও বিএনপি’র একটি গ্রুপের সাথে গোপনে আতাত করে তার ভাতিজা ফুলতলা বিকাশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মোঃআমিনুল ইসলাম ইউনুস মল্লিক কে দিয়ে বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোঃ আনিচুর রহমানের মাধ্যমে তালগাছিয়া শান্তিনগর বাজারে বিএনপির একটি অফিস করে । আওয়ামী লীগের যারা ছত্তার মল্লিক ও ইউনুস মল্লিকের বিরুদ্ধে বিগত দিনে ছিলো তাদের উপরে বি এন পির নাম ভাঙিয়ে ধমন পীড়ন চালায় ,এতে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না ,ইউনুস মল্লিকের নামে ইতিমধ্যে একাধিক জাল জালিয়াতির মামলা,সাইবার মামলা হয়েছে ,আরো অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে,তবে সব কিছুই সে করছে ইউনিয়ন ছাত্রদল, যুবদলের কিছু নেতাদের ব‍্যাবহার করে ,বহাল তবিয়তে আছে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল রহমান সত্তার মল্লিক এবং সমস্ত দুর্নাম হচ্ছে ইউনিয়ন বিএনপির ।

যেখানে সারা দেশে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা পালাতক সেখানে ছত্তার মল্লিকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল ,যেটাতে দেখা গেছে সে ওয়ার্ড বিএনপির অফিসে খোশগল্প করে চা পান করছেন ,এ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিএনপির সাধারণ কর্মী সমর্থকরা ,অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন নব‍্য বিএনপির দাপটে কোনঠাসা ত‍্যাগীরা ।
বিবিচিনি ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল রহমান সত্তার মল্লিক সুকৌশলে তার ছেলে বিবিচিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ মনির মল্লিক’ কে ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ আনিসুল রহমান’র সাথে যোগাযোগ করে আওয়ামী লীগের কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন গতবছরের ৫ আগস্টের আগে আনিচুর রহমান প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দেনার কারনে এলাকায় না আসতে পারলেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে এলাকায় এসে ব্যাপক চাঁদাবাজি করেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
তিনি এখন আওয়ামী লীগের টাকায় বিবিচিনিতে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতেছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি’র নেতা।

ইউনিয়ন বিএনপি’র এক প্রবীন নেতা বলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল রহমান সত্তার মল্লিক তার নাতী বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র গোলাম কবিরের চামচা হওয়ার পরেও সুকৌশলে বিবিচিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলে একটি অংশের সাথে মিসে সকল বৈরিতা করার চেষ্টা করছে।তিনি আরো বলেন বেতাগী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হুমায়ুন কবির মল্লিক’র বোন বেতাগী পৌর সভায় চাকরি করেছেন আর সত্তার মল্লিক এর নাতিও সেখানে গোলাম কবির পক্ষে কাজ করার জন্য সকল তথ্য সংগ্রহ করে তাকে পাঠাচ্ছে।
বিবিচিনি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক এক নেতা বলেন রেজাউল রহমান সত্তার মল্লিক নিজেও বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান আনিচুরর হমানকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান খান এর ছেলের শশুর বিবিচিনি ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা ডাক্তার মোঃ রেজাউল করিম’র সাথে সুসম্পর্ক রেখে তাকে দিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন তাকে নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করাতেও মরিয়া সত্তার মল্লিক।

তাই তিনি বলছেন বিবিচিনি ইউনিয়ন বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের দাবার চালে পরেছে। তিনি আরো বলেন সত্তার মল্লিক এর পরিবার ৫ থেকে ৬ জন লোক আতান্ত সুকৌশলে বিবিচিনি ইউনিয়নের বিএনপি:’ বিভিন্ন গ্রুপের সালে জোটবদ্ধ হয়ে যেমন আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করছে ঠিক তেমনি বিএনপিকে দংশ করছে। তিনি আরো বলেন বেতাগীতে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাদের নামে মামলা হলেও এখনো এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তারিত করছে রেজাউল রহমান সত্তার মল্লিক।

তিনি বলেন সম্মেলনে মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দোসরদের বাদ দিয়ে বিবিচিনি ইউনিয়ন বিএনপি একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দেওয়া হোক।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.