সংগঠনের জনশক্তি বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে সকলকে ভুমিকা রাখতে হবে– মাহফুজুর রহমান
খুলনা সদর থানা জামায়াতের ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারি সম্মেলন
বাংলাদশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আমরা চাই একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। হুন্ডা-গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন করার পদ্ধতি চলবেনা।
দেশের জন্যগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার অধিকার চায়। জগণের প্রকৃত সরকার যেন নির্বাচিত হয় তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দেশের জনগণ যেন জামায়াতকে আস্থার জায়গা মনে করে সে ভাবে নেতাকর্মীদেরকে কাজ করার আহবান জানান জামায়াতের এই নেতা।
নেতাকর্মীদেরকে দেশের জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এমন কোন কাজের সাথে যুক্ত না থাকার আহবান জানান তিনি। ইসলামী বিপ্লব সাধনে জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করার উপর জোর দেন তিনি। তৃণমূল সংগঠন মজবুত হলে দল শক্তিশালী হয়। সংগঠনের জনশক্তি বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। চতুর্মুখী সমস্যা মোকাবিলা করার মতো সামর্থ অর্জন করার লক্ষ্যে মনোনিবেশ করা উচিত।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে নিজস্ব কার্যালয়ে খুলনা সদর থানা জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. আব্দুস সালামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে খুলনা সদর থানার সহকারী সেক্রেটারি ও ২৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, থানা বায়তুলমাল সেক্রেটারি এস এম মুয়াজ্জম হোসাইন, ২১ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন মল্লিক, ২৪ নং ওয়ার্ড আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ৩০ নং ওয়ার্ড আমীর মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ, ২৮ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল জলিল, ২৪ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মাওলানা আসাদুজ্জামান, ২৯ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, ৩০ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মাওলানা লিয়াকত আলী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী আমীর আরও বলেন, বিগত ১৮ বছর জাতি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেনি। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় করণ করা হয়েছিল। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পৌত্তলিক ভাবে প্রণয়ন করেছিল। অবৈধ ভাবে বিদেশে টাকা পাচার করে দেশটাকে তলাবিহীন জুড়িতে পরিণত করে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে পাশের দেশের এজেন্দা বাস্তবায়ন করেছিলো তারা আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, তাদের অপকর্ম রাতদিন বললেও শেষ হবেনা। ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসারকে হত্যা করে, হেফাজতে ইসলামের শত শত আলেমদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করে এবং জামায়াতের নেতাদেরকে বিদেশে রায় লিখে এনে ফাঁসির নামে বিচারিক হত্যা মঞ্চস্থ করেছিলো। স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার বাহিনী এই দেশের নারী, পুরুষ, শিশু ও সাধারণ ছাত্র-জনতাকে গণহারে হত্যা করে এক বিভিষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করে। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি আদায়ে তৎপর হতে হবে। এে প্রেক্ষিতে দেশি-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র সাধারণ জনগণকে সাথে মোকাবেলা করার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে নিজেদের জীবন ও চরিত্রকে আলোকিত করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। তাই জামায়াত ব্যক্তির জ্ঞান চর্চাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে। আমরা জ্ঞানের আলোয় আলোকিত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আপোষহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অন্য দলে তা করা হয় না। তাদের কর্মসূচিই হচ্ছে পেশি শক্তি নির্ভর। মূলত, জামায়াতে ইসলামী ওহীর জ্ঞানের ভিত্তিতে চরিত্র গঠনের এক অদ্বিতীয় মাধ্যম। আমাদের কোন জনশক্তিই অপরাধের সাথে জড়িত নন। কোন দুঃশ্চরিত্র, বদমেজাজী, অহংকারী, সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজদের জামায়াতে কোন স্থান নেই। তিনি জ্ঞানভিত্তিক ও ইনসাফপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকলকে আত্মগঠন ও পরিবার গঠনে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।