সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে চাঞ্চল্যকর নববধূকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ মামলার বাদী ভিকটিমের স্বামীর সাক্ষ্যগ্রহণ অবশেষে সমাপ্ত হয়েছে। গত ১৯ মে তিনি আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
সোমবার দুপুরের দিকে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে তিনি সাক্ষ্য সমাপ্ত করেন। ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগী তরুণীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা হয়নি। ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পরবর্তী তারিখে ভিকটিমের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
গত ১৯ মে দুপুরে মামলার বাদী আংশিক ও এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের তৎকালীন দায়িত্বে থাকা সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য সাক্ষ্য দেন। আগামী সপ্তাহেই ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়ার কথা জানান পিপি আবুল হোসেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে জিম্মি করে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা মিলে নববধূ এক তরুণীকে (২০) গণধর্ষণ করে। পাঁচ বছর পর এই জঘন্য ও ব্যাপক আলোচিত ধর্ষণ মামলার বিচার কার্যক্রম সম্প্রতি শুরু হয়েছে।
গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ক্যাডার সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন রবিউল ও মাহফুজুর বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।