দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

কয়রা ভেড়বাধে ধ্বস,আতংকে এলাকাবাসী।

74

খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হরিণখোলা ওয়াবদার বাধেঁ ধ্বস নেওয়ায় আতংকে উপকূলবাসী।
রোববার (২৫ মে) সরেজমিনে দেখা যায় হরিণখোলা ওয়াবদায় প্রায় ১০০ গজ অংশ ধ্বস নিয়েছে।
স্থানীয় উপকূল বাসীন্দা মুক্তারুল ইসলাম বলেন-‘সামনে ঘূর্ণিঝড় (শক্তি) আসছে শুনতেছি এখন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে ওয়াবদা ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকবে’। ২০২২ সালে ঘূর্ণিঝড় (ইয়াসে) এই ওয়াবদা ভেঙ্গে গিয়েছিল যদিও সে যাত্রায় কপোতাক্ষ নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় (আম্ফান) এর পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই ওয়াবদার রাস্তা সংস্কার হলেও কাজের মান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন ছিল মানুষের কাছে।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন-এই ওয়াবদার রাস্তার দুইপাশে মাটি দিয়ে ভিতরে সম্পূর্ণ বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে যেটাকে “বালুর বাধ” বলা হয়। যেকারণে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ আবুল কালাম বলেন-এইখানে আমার জন্মভিটে এবং এই ওয়াবদা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আমার বাপ দাদাসহ পূর্ব পুরুষদের কবর কপোতাক্ষ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন- এই ওয়াবদা রাস্তা সংস্কারে যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আগামী এক মাসের মধ্যে ওয়াবদা ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করবে। এখানে ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বিধ্বস্ত হয়েছিল যার ভয়ংকর স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বারবার ওয়াবদা সংস্কার না করে টেকসই বেড়িবাঁধ দেয়া যাতে করে (সিডর, আইলা, আম্ফান, ইয়াসের) মত ঘূর্ণিঝড়ের পূণরাবৃতি হবে না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.