বাংলাদেশের জনগণ আর ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন চায় না—এই বার্তা নিয়েই বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আলোচনায় নেতৃত্ব দেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, “মানুষ চায় একটি বৈষম্যহীন, সমঅধিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।”
আলী রীয়াজের মতে, সম্প্রতি দেশে সংঘটিত গণআন্দোলন ছিল একদিকে ক্ষোভের, অন্যদিকে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ। তিনি বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে জনগণ জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই পরিবর্তনের জন্যই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গণতন্ত্রে মতপার্থক্য স্বাভাবিক—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে কিছু বিষয়ে ছাড় দিয়ে সংস্কারের প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
ঐ বৈঠকে অংশ নেন বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের আমলে এমন মুক্ত আলোচনা সম্ভব ছিল না। এখন মতভেদ থাকা সত্ত্বেও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পথরেখা তৈরি সম্ভব।’ তাঁর মতে, সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে ইতোমধ্যে একমত হওয়া গেছে। বাকি বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। ঐকমত্য অতীতেও হয়েছে, কিন্তু তা মানা হয়নি। এবার যেন আর সেই ভুল না হয়—এই আহ্বান জানানো হয় বৈঠকে।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদারসহ অনেকে। বাসদের পক্ষে রাজেকুজ্জামান রতন, শম্পা বসু, মনীষা চক্রবর্ত্তীসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন।