শনিবার সকাল ১১ টায় মনিরামপুরের পাড়িয়ালী বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় বিতর্কিত নিয়মিত কমিটি গঠনের অডিট কার্যক্রম পরিদর্শন করেন জেলা সহকারী পরিদর্শক গাজী হুমায়ুন কবির।পরিদর্শনকালে বিতর্কিত নিয়মিত পরিচালনা পর্ষদ কমিটির বিপক্ষে অভিযোগকারীসহ সুধীজন ও সাংবাদিকের সহিত মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় শেষে অডিট অফিসার গাজী হুমায়ুন কবির বলেন পূর্বের কমিটি গঠনপ্রক্রিয়া এবং অভিযোগের বিষয় পর্যালোচনা করে সঠিক রিপোর্ট পেশ করবো।
অভিযোগকারী গনের ভিতর কুলটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সহ সভাপতি আবুল বাসার বলেন বর্তমান সময়ে সরকারী নিয়মনীতি না মেনে অভিভাবক সদস্য ও এলাকার সুধীজনের সহিত মতবিনিময় না করে গোপোনীয়তার মাধ্যমে গোপালপুর কামিল মাদ্রাসায় বসে কমিটি চুড়ান্ত করেন। এখানে মাদ্রাসা সুপার মাওঃ আঃ হলিম এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
অভিযোগকারীগনের ভিতর শাহীন আক্তার, আঃ ওদুদ, রেজাউল ইসলাম, আজিজুল হক পলাশ, সিরাজুল ইসলাম, আবু তাহের বলেন মাদ্রাসা সুপার অত্যান্ত সুচতুর হওয়ায় গোপোনীয় ভাবে কাওকে না জানিয়ে এলাকার বাইরে বসে ম্যানেজিং কমিটি চুড়ান্ত করেন যেটা আমরা মানিনা। আমরা চাই এলাকার শান্তি শৃংখলা রক্ষা করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটা গ্রহনযোগ্য কমিটি করা হোক।
বর্তমান বিতর্কিত পরিচালনা কমিটির টি আর সদস্য মাওঃ হাসমত আলী, অভিভাবক সদস্য শাহিন আক্তার ও আঃ ওদুদ বলেন আমরা অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়েছি সেটা জানতাম না। অডিট অফিসার কে উদ্দেশ্য করে বলেন স্যার আমরা এ কমিটির থেকে পরিত্রাণ চাই আমরা না বলার স্বত্বেও সুপার সাহেব গোপনীয়ভাবে আমাদেরকে নির্বাচিত করেছে আমরা এই বিতর্কিত কমিটির ভিতর থাকতে চাই না স্যার আমাদের রক্ষা করুন। আমরা চাই সকলের মতামতের ভিত্তিতে গ্রহনযোগ্য কমিটি।আরো বলেন মাদ্রাসা সুপার নিয়মিত অফিসে আসেননা এবং নৈশ প্রহরী, লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগের কথা বলে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে ২০,০০০০০/ (বিশ লক্ষ) টাকা অর্থ-বানিজ্য করেছেন যা এলাকার অনেকে জানেন।
এ বিষয় প্রতিষ্ঠানের সুপার মাওঃ আঃ হালিম ঘটনার বিষয় এবং অর্থ-বানিজ্যের কথা জানাতে রাজি হননি।