বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কাতারকে আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এখন আবার ব্যবসায় ফিরে এসেছে, এবার বড় আকারে। আমরা আপনাদের অংশীদারত্ব চাই।”
বুধবার দোহায় ‘বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতিমুক্ত একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কীভাবে একসময় নরওয়ের টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলা হয়েছিল এবং পরে সেটি টেলিনরের সবচেয়ে লাভজনক প্রকল্পে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী অনুষ্ঠানে কাতারি বিনিয়োগকারীদের সামনে দেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া তুলে ধরেন।
এছাড়া জ্বালানি উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান জানান, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় বাংলাদেশের মোট ঋণ ছিল ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা কমে এখন ৬০০ মিলিয়নে নেমে এসেছে। কাতার এনার্জির ২৫৪ মিলিয়ন ডলার বকেয়াও ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কাতারের শিল্প ও ব্যবসা উন্নয়নবিষয়ক উপ-সচিব সালেহ মজেদ আল খালাফি, নেক্সট স্মার্ট সল্যুশনসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলি বেন ফারজ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম।