দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

সুন্দরবনের একঘেয়েমী কাটাতে বন বিভাগের আন্ত: রেঞ্জ ভলিবল টুর্নামেন্ট

50

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে টানা দায়িত্ব পালনরত বনরক্ষীদের একঘেয়েমি দূর করতে এবং শারীরিক ও মানসিক চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে আনতে আয়োজিত হলো এক ব্যতিক্রমধর্মী আন্ত: রেঞ্জ ভলিবল টুর্নামেন্ট।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে কয়রার কাশিয়বাদ ফরেষ্ট স্টেশন মাঠে শত শত দর্শক আনন্দঘন পরিবেশে খেলাটি উপভোগ করেন।এবং কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কিছুটা আনন্দ ও চিত্তবিনোদনের সুযোগ পেয়ে সবাই ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেন এই খেলায়।

বন বিভাগের আয়োাজনে আন্তঃ রেঞ্জ ভলিবল খেলায় সাতক্ষীরা রেঞ্জকে পরাজিত করে খুলনা রেঞ্জ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এজেডএম হাছানুর রহমানে সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ শরিফুল ইসলাম ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ মশিউর রহমান। পুরুস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুজ্জামান, বানিয়াখালী স্টেশন কর্মকর্তা মামুন মাতববর,খুলনা রেঞ্জ সহযোগী মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জ সহযোগী মোঃ হাবিবুর রহমান, কয়রা আদালতের বন মামলা পরিচালক মনিরুল ইসলাম, বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্ত মোঃ জিয়াউর রহমান, নলিয়ান স্টেশন কর্মকতার্ মোঃ সমশের আলী, কালাবগী স্টেশন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ মজুমদার, কোবাদক স্টেশন কর্মকতা মোঃ আনোয়ার হোসেন, কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা এমকেএম আব্দুস সুলতান,সুতারখালী স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান মিজানুর রহমান, কাশিয়াবাদ স্টেশনের সহযোগি স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন সহ বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়িতে কর্মরত বন কর্মিরা। খেলা পরিচলনা করেন বেদকাশি কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক মিহির কুমার মন্ডল। সহযোগী ছিলেন সিপিজি সদস্য বিল্লাল হোসেন,সাইফুল ইসলাম ও মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাজুল ইসলাম। খেলায় সেরা খেলোয়ার নিবার্চিত হন চুনকড়ি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বজল মজুমদার ।

বন প্রহরী মাহবুব হোসেন বলেন, “সুন্দরবনের গভীরে দায়িত্ব পালন করতে করতে কখনো কখনো মনে হয় আমরা যেন পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন। আজকের খেলায় অংশ নিয়ে মনে হলো, আমরা বেঁচে আছি, আনন্দ করতে পারি।”

খুলনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এজেডএম হাসানুর রহমান বলেন, “বনকর্মীদের কাজ অত্যন্ত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই মানসিক চাপ দূর করতে আমরা খেলাধুলার মতো কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এতে তাদের মনোবল যেমন বাড়বে, তেমনি পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশও তৈরি হবে।” আমাদের এ ধরনের চিত্ত বিনোদন অব্যাহত থাকবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.