দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

কয়রায় আধুনিক ও নারী বান্ধব আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

121

আজ সোমবার(১০ মার্চ) নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে উপকূলীয় এলাকায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন করা হয়েছে । দিবসটির একদিন আগে গত রবিবার খুলনার নাগরিকদের পক্ষ থেকে উপকুলীয় এলাকায় আধুনিক ও নারী বান্ধব আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। ঐ দিন নগরীর কারিতাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা, মানববন্ধব ও জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়। নাগরিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন বয়স্ক, নারী ও শিশুরা। কিন্তু দেখা যায় উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগের সময়ও নারীরা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাননা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নারীবান্ধব না হওয়ায় শত প্রতিকূলতার মধ্যেও নারীরা সেখানে যেতে অনুৎসাহিত বোধ করেন।

কারিতাস মিলনায়তনে ‘দুযোগ ঝুঁকিপূর্ণ কয়রায় নারী ও মেয়েসহ সবার জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র চাই’ শিরোনামে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কারিতাসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন নারী নেত্রী ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা রেহানা ঈসা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন,সাংবাদিক এইচ এম আলাউদ্দিন, গাজী মনিরুজ্জামান, শেখ আল এহসান,নাগরিক নেতা ও কয়রার সাংবাদিক মোঃ রিয়াছাদ আলী, বেসরকারি সংস্থা জেজেএস’র ডিরেক্টর প্রোগ্রাম এমএম চিশতি, সমন্বয়কারী নাজমুল হুদা, নাগরিক নেতা মীনা আজিজুর রহমান, আব্দুল মালেক, নারী নেত্রী অজন্তা দাস, ইসমত আরা হীরা, বেলার সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, ব্রাকের সমন্বয়কারী মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রমুখ। আলোচনার পুর্বে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান ও কয়রার অগ্রদূত সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের কোষাধ্যক্ষ মো. রিয়াছাদ আলী।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কয়রা উপজেলায় বর্তমানে সরকারিভাবে নির্মিত ১১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যেসব মানুষ আশ্রয় নিতে পারে তার সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার। কিন্তু কয়রা উপজেলার লোকসংখ্যা প্রায় তিন লাখ। বাকী আড়াই লাখ মানুষ দুর্যোগকালীন নানা সংকটের মধ্যে থাকতে বাধ্য হয়। এজন্য উপকুলীয় এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক ও নারীবান্ধব আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানানো হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.