ডা. তাসনিম জারা সম্প্রতি নতুন ঘোষিত রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব। তিনি শুধু একজন সফল চিকিৎসকই নন, বরং একজন প্রভাবশালী সমাজসেবী ও স্বাস্থ্য সচেতনতার ক্ষেত্রে অগ্রগামী নেতা। তিনি যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছেন। পাশাপাশি “সহায় হেলথ”-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
তাসনিম জারা বাংলাদেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা নেন। সেখানে তিনি ডিসটিঙ্কশন পেয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। নারীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তার গভীর জ্ঞান এবং দক্ষতা তাকে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ান এবং গাইনোকোলজিস্ট থেকে ডিআরসিওজি ডিগ্রি অর্জন করতে সহায়তা করেছে।
বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন সচেতনতায় তার অসামান্য অবদানের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাকে ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ নামে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছে। তার কাজ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো যেমন বিবিসি, টাইমস, স্কাই নিউজ, ইয়াহু ও দ্যা ফিনান্সিয়াল টাইমস সংবাদ প্রচার করেছে। ২০২৪ সালে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফাইডি (Fide) হিসেবে স্বীকৃতিও লাভ করেন।
এছাড়া, ডা. তাসনিম জারা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন এবং মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য সিনিয়র ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের হায়ার এডুকেশন একাডেমির একজন সহযোগী ফেলো এবং তার গবেষণাপত্র ইউরোপ ও আমেরিকার বিখ্যাত জার্নালগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে।
তাসনিম জারা শুধুমাত্র চিকিৎসার জগতে নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। তার ভিডিওগুলো বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ নিয়মিত দেখে এবং বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ১ কোটিরও বেশি মানুষ অনুসরণ করেন। তার ভিডিওগুলো এক বিলিয়ন মিনিটেরও বেশি সময় ধরে দেখা হয়েছে, যা তার সামাজিক প্রভাবের পরিসরকে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে।
এমন একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে প্রস্তুত। তার আগামী দিনগুলোতে আরও বড় পরিবর্তন এবং প্রভাব ফেলার আশা করা হচ্ছে।